গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ দুই মাস পার করেছে। এর মধ্যে একের পর এক অস্ত্রের চালান পাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার উত্তরাঞ্চলের পর দক্ষিণেও স্থল অভিযান শুরু করেছে তাদের সেনারা। এর মধ্যে তারা ২০০তম সামরিক চালান পেয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের কাছে সামরিক সরঞ্জামের ২০০তম কার্গো চালান পৌঁছেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের জন্য এ চালান এসেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ হাজার টন সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্রবাহী গাড়ি, অস্ত্র, সুরক্ষা সরঞ্জাম গোলাবারুদসহ অন্যান্য।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালানের এসব অস্ত্র মার্কিন প্রকিউরমেন্ট মিশন কর্তৃক সহায়তা পেয়েছে ইসরায়েল। দেশটি ইসরায়েলের এ যুদ্ধে অন্যতম জোগানদাতা। তারা প্রতিবছর ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা করে আসছে।
এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হঠাৎ হামলার পর ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইসরায়েলকে মার্কিন অস্ত্র সহায়তা দিতে দুই দেশের কর্মকর্তা জোর আলোচনা শুরু করেছেন।
হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলকে মার্কিন অস্ত্র সহায়তা নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে। তবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি সরে যাওয়ায় নতুন অস্ত্র সহায়তা পাস নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
আরেক আমেরিকান কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আসলে এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করছেন। প্রতিনিধি পরিষদে কোনো স্পিকার নেই। এটি একটি ব্যতিক্রম পরিস্থিতি। এর মধ্যেই তাদের কাজ করতে হবে।
হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন অপরিবর্তিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন