এহসান আব্দুল্লাহ
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অভ্যন্তরীণ সমস্যায় ন্যাটো, বেরিয়ে এলো মারাত্মক দুর্বলতা

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের যত শক্তিশালী দেখানোর চেষ্টা থাকে ঠিত ততটাই দুর্বল দিক রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক জোট ন্যাটোর। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের যে কোনো শক্তিকে সহজেই পরাজিত করতে পারে ন্যাটোর সম্মিলিত শক্তি। যদিও তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে।

বরং সেখানে দুই দশকে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেও বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি স্থানীয় কট্টরপন্থি গোষ্ঠীকে। এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে সামনে রেখে বেরিয়ে এলো ন্যাটোর মারাত্মক দুর্বলতার কথা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ৩৫ থেকে ৫০ ব্রিগেড সেনার অভাবে ভুগছে সামরিক জোটটি। আসন্ন রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জোটের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিপুল এ সেনা ঘাটতি ধরা পড়েছে। একটি ব্রিগেড সাধারণত তিন হাজার থেকে সাত হাজার সেনার সমন্বয়ে হয়ে থাকে। ফলে সে হিসেবে বর্তমানে সাড়ে তিন লাখ সেনা ঘাটতিতে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এ সামরিক জোটটি।

ন্যাটোর একটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর রুশ বাহিনীর হুমকির মুখে সামরিক জোটটির একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মাত্রাকে ইঙ্গিত করে। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হলে জার্মানিকে একাই তার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চারগুণ বাড়াতে হবে। গেল বছর ভিলিনিয়াতে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলো গত তিন দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। তারপর থেকেই ন্যাটোর কর্মকর্তারা এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর কী কী রসদ প্রয়োজন তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকা তৈরি করতে শুরু করে।

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো নেতাদের এক সম্মেলনে এ পরিকল্পনার বিষয়ে হালনাগাতকৃদ তথ্য উপস্থাপনের আশা করা হচ্ছে। জোটটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মেলনে মিলিত হবেন ন্যাটো জোটের শীর্ষ নেতারা। এক কর্মকর্তা জানান, সামরিক পরিকল্পনাবিদরা জোটের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সেনা ও যুদ্ধাস্ত্রের বিস্তারিত চাহিদা উপস্থাপন করেছেন। এ কর্মকর্তা জানান, আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র, প্রয়োজনীয় সামরিক রসদসহ স্থলসেনাদের একটি বড় ফরমেশন এখন সবার আগে প্রয়োজন।

তবে ন্যাটো বিপুল পরিমাণ সেনা কোথা থেকে জোগাড় করবে তা এখন স্পষ্ট নয়। বলা হচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনীর অন্য কোনো শাখা থেকে প্রয়োজনীয় সেনা স্থানান্তর করা হবে, অথবা নতুন করে সেনা নিয়োগ করা হবে। এমনকি উভয় পদ্ধতির মিশ্রণও বেছে নিতে পারে বলে জানা যায়। সেনাসদস্যের পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ন্যাটোর অন্যতম ঘাটতি। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এটির অভাবে সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো রক্ষা করা কতটা চ্যালেঞ্জের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শারীরিক প্রতিবন্ধী আলিফের পাশে চট্টগ্রামের ডিসি

ইউরোফাইটার টাইফুন কিনবে বাংলাদেশ

মসজিদের ভেতর বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বহিষ্কৃতদের প্রত্যাবর্তনে ছন্দে ফিরছে সিলেট বিএনপি

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা কলেজের বাস চলাচল বন্ধ

বিসিএস পরীক্ষার নম্বর বণ্টনে পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

৩ শর্তে জাতীয় সরকার গঠন করতে চান জামায়াত আমির

খুলনা-২ / বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাস পেরোলেও ঐক্যবদ্ধ প্রচারকাজ শুরু হয়নি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের ঐক্যের ডাক

১০

গুলশানের একটি সড়কের নতুন নাম ‘ফেলানী এভিনিউ’

১১

এসএসসি পাসেই বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, পাবেন যেসব সুবিধা

১২

দল মত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান সেলিমুজ্জামানের

১৩

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

১৪

তৈরি পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব অগ্রগতিতে অংশীজনদের আহ্বান

১৫

ছাত্রীর টিফিন বক্স থেকে পথ কুকুরদের খাওয়ানোর দৃশ্য ভাইরাল

১৬

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি বাতিল

১৭

কোন ব্যথায় গরম সেঁক, কোন ব্যথায় ঠান্ডা? জানুন সঠিক পদ্ধতি

১৮

সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতকারী পলাতক সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাউশির জরুরি নির্দেশনা

২০
X