কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জনবসতিহীন পেঙ্গুইন দ্বীপে ট্রাম্পের শুল্কারোপ

পেঙ্গুইন। ছবি : সংগৃহীত
পেঙ্গুইন। ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার অধীনে থাকা হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপে কোনো মানুষের বাস নেই। দ্বীপটিতে অবাধ বিচরণ পেঙ্গুইন ও সামুদ্রিক সীলের। ক্ষুদ্র এবং প্রত্যন্ত অ্যান্টার্কটিক এ দুটি দ্বীপেও শুল্ক আরোপ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আরোপের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে পেঙ্গুইন এবং সিল দ্বারা অধ্যুষিত প্রত্যন্ত অ্যান্টার্কটিক দ্বীপ। অস্ট্রেলিয়ার ৪,০০০ কিলোমিটার (২,৪৮৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত হার্ড এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর একমাত্র পথ সমুদ্র। উপকূল থেকে সাত দিনের নৌ ভ্রমণের মাধ্যমে সেখানে যাওয়া যায়। ধারণ করা হয়, প্রায় এক দশক ধরে মানুষ সেখানে যায়নি।

মার্কিন পণ্যের ওপর অন্যায্য বাণিজ্য বাধার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার (২ এপ্রিল) ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী নতুন শুল্ক আরোপ করেন। ফলে নরওয়েজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, স্বালবার্ড, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার আরও কয়েকটি অঞ্চল নতুন শুল্কের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, এটি কেবল এই সত্যটি দেখায় এবং উদাহরণ দেয় যে পৃথিবীর কোথাও ট্রাম্পের শুল্ক থেকে নিরাপদ নয়।

অস্ট্রেলিয়ার বাকি অংশের মতো হার্ড এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ, কোকোস (কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ এবং ক্রিসমাস দ্বীপ এখন ১০% শুল্কের আওতায়। নরফোক দ্বীপে ২৯% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ দ্বীপ অস্ট্রেলিয়ার একটি অঞ্চল এবং এর জনসংখ্যা মাত্র ২,২০০ জন।

হার্ড দ্বীপটি অনুর্বর। বরফে ঢাকা। সম্পূর্ণরূপে জনবসতিহীন। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম এবং একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বিগ বেন এখানে অবস্থিত। দ্বীপের বেশিরভাগই বিশাল হিমবাহ দ্বারা আচ্ছাদিত। তেমনি ম্যাকডোনাল্ডও জনবসতিহীন। এ ধরনের দ্বীপকেও শুল্কের আওতায় আনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন শুল্ক কাঠামোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। নতুন শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী, প্রায় অধিকাংশ দেশের ওপর ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোকেও বাদ দেওয়া হয়নি।

নতুন শুল্ক তালিকায় যেসব দেশকে লক্ষ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিয়েতনাম এবং চীন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভারতকে ২৭ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ২০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামকে ৪৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। চীনের পণ্য আমদানির ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের শিল্পকে রক্ষা করছি, এটা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনর্জন্মের দিন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মারা গেছেন বেগম খালেদা জিয়া

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী বিন্দু

দিনাজপুরে খালেদা জিয়াসহ ৪৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আল্লামা সাঈদীর দুই ছেলে

ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রার্থী গ্রেপ্তার

তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সিলভার সেলিম

মানুষের জীবনমানের উন্নয়নই আমার রাজনীতির লক্ষ্য : মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়া সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিক্রান্ত করছেন : ডা. জাহিদ

তিন ঘণ্টা ছিলেন দলীয় কার্যালয়ে / রিজভীর নেতৃত্বে তারেক রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল বিএনপি

বিএইউএস-নিকডু’র উদ্যোগে লাইভ অপারেটিভ ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি কর্মশালা

১০

বিএনপির রাজনীতি হবে জনগণের সেবা ও জবাবদিহিমূলক : রবিউল আলম

১১

স্থগিত হলো প্রাথমিকের আরও এক নিয়োগ পরীক্ষা

১২

‘এ নির্বাচন করা আমার জন্য নয়, তোমাদের সবার জন্য’

১৩

কনকনে শীতের রাতে রাস্তায় ভাইয়ের উষ্ণতা হয়ে উঠল বড় বোন

১৪

আমি কোনো অন্যায় করতে পারবো না, জুনায়েদ সাকিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা

১৫

১০ ভরি স্বর্ণসহ যত সম্পদ জামায়াত আমিরের

১৬

রাতে এভারকেয়ারে গেলেন তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা

১৭

তুলির আসনে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

১৮

১৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

১৯

অধিনায়ক পাল্টালেও হার এড়াতে পারল না নোয়াখালী

২০
X