কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাতিঘরে মিলল ১২২ বছর আগের ‘বোতল বার্তা’, কী লেখা আছে?

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কেপ ব্রুনি লাইটহাউস। ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কেপ ব্রুনি লাইটহাউস। ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কেপ ব্রুনি লাইটহাউসে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে গিয়ে ১২২ বছর পুরোনো একটি রহস্যময় ‘বোতল বার্তা’ খুঁজে পেয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ চিত্রশিল্পী। সময়ের ধুলায় ঢেকে যাওয়া বাতিঘরের দেয়ালের মধ্যে লুকানো ছিল এই ঐতিহাসিক বার্তাটি, যা এখন ইতিহাসবিদদের কাছে এক অমূল্য নিদর্শনে পরিণত হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চিত্রশিল্পী ব্রায়ান বারফোর্ড সম্প্রতি ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত এই বাতিঘরের ল্যান্টার্ন কক্ষে সংস্কারের কাজ করার সময় এক জায়গায় দেয়ালের অস্বাভাবিক অবস্থা লক্ষ্য করেন। গভীর অনুসন্ধানে সেখানে একটি কাচের বোতল দেখতে পান তিনি। বোতলটি খুলতেই বেরিয়ে আসে দুই পৃষ্ঠার একটি হাতে লেখা চিঠি, যার তারিখ ১৯০৩ সালের ২৯ জানুয়ারি।

চিঠির লেখক ছিলেন জেমস রবার্ট মিচ—হোবার্ট মেরিন বোর্ডের তৎকালীন লাইটহাউস পরিদর্শক। তিনি তার হাতে লেখা সেই চিঠিতে বাতিঘরটির একটি বড় সংস্কার প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, কাঠের সিঁড়ি বদলে লোহার পাকানো সিঁড়ি বসানো হয়েছে, নতুন কংক্রিটের মেঝে তৈরি করা হয়েছে এবং নির্মিত হয়েছে আধুনিক ল্যান্টার্ন কক্ষ।

মিচ আরও লিখেছেন, বাতিঘরের আলোর নতুন চালনা-পদ্ধতি ও সে সময় কর্মরত শ্রমিকদের নাম। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ২০০ পাউন্ড, যা আজকের দিনে প্রায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি।

তাসমানিয়া পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক আনিতা ওয়াগহোর্ন বলেন, ‘চিঠিটি বের হওয়ার মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। এটি যেন অতীত ইতিহাসের এক জীবন্ত সাক্ষ্য।’

চিঠিটি সংরক্ষণের জন্য তুলে দেওয়া হয় তাসমানিয়ান মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারির বিশেষজ্ঞদের কাছে। তারা চিঠিটির আদ্রতা ও কাগজের অবস্থা বিবেচনায় রেখে সতর্কভাবে এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে চিঠিটি জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হবে, তবে এখনো প্রদর্শনীর স্থান নির্ধারিত হয়নি।

প্রসঙ্গত, কেপ ব্রুনি লাইটহাউস প্রথমবার আলো জ্বালে ১৮৩৮ সালে। এরপর দীর্ঘ ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম দুর্গম ও বিপজ্জনক জলপথে জাহাজ চলাচলে দিকনির্দেশনার কাজ করেছে। ১৯৯৬ সালে বাতিঘরটির কার্যক্রম বন্ধ করে এর পাশেই একটি সৌরচালিত বাতিঘর বসানো হয়।

স্থানীয় ইতিহাসবিদরা বলছেন, ‘এটি সাম্প্রতিক সময়ে লাইটহাউসসংক্রান্ত সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার, যা তাসমানিয়ার উপকূলীয় ইতিহাসে এক বিরল সংযোজন।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

হামজার চোট কতটা গুরুতর, যা জানা গেল

কিছু ছোট পরিবর্তনেই বদলে যাবে আপনার পুরো লুক

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে নরওয়ে

২৯ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের নতুন ডিসি জাহিদুল 

মঙ্গল অভিযানে নাসার দুই মহাকাশযান

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

কল ও টেক্সট করে হত্যার হুমকি, অভিযোগ হাদির

এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপের টিকিট পেল ফ্রান্স

১০

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী

১১

তেঁতুলিয়ায় তীব্র হচ্ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে

১২

ক্ষমা চাইল বিবিসি, মানহানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

১৩

পুলিশ দেখে দৌড়, আটকের পর জানা গেল তিনি যুবলীগ নেতা

১৪

রোনালদোর লাল কার্ডে পর্তুগালের বিশ্বকাপ স্বপ্নে ধাক্কা

১৫

১৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

এসএসসি পাসেই নেয়োগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

১৭

ঢাকায় বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে

১৮

নিয়োগ দিচ্ছে আড়ং, দ্রুত আবেদন করুন

১৯

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২০
X