চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে যুবদল ক্যাডারের ছুরিকাঘাতে কলিমুদ্দিন (৩৩) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী খুন হয়েছে। তিনি উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পূর্ব লালানগর গ্রামের মৃত আবু নাসেরের পুত্র। এ ছাড়াও তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।
বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছোটদারগারো বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবদল কর্মী সাখাওয়াত হোসেন সাখার অনুসারীদের দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত কলিমুদ্দিনের বড় ভাই তসলিম উদ্দিন বলেন, সাখাওয়াত হোসেন সাখা এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি। আমার ভাই তাকে ইয়াবা ব্যবসা করতে বাধা দেওয়ার কারণেই সে তার দলবল নিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সে যুবদল নেতার নাম ভাঙিয়ে মাদকের ব্যবসা করে। কলিমুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সোচ্চার ছিল।
তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাখাওয়াতের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটিতে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সম্প্রতি ইজারা নেওয়া কোরবানির গরুর বাজার সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। বৈঠকের বাইরে কয়েকজন সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। এ সময় তারা ককটেল ফাঁটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরীফ নিজেকে সহস্র ধারার ইজারাদার দাবি করে বলেন, খুন হওয়া কলিমুদ্দিন বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি। স্থানীয় যুবদল কর্মী সাখাওয়াত হোসেন সাকা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বৈঠক চলাকালীন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কলিমুদ্দিনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে সাখাওয়াত হোসেন সাকার বাহিনীর সদস্যরা।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কিছু যুবকের অন্তঃকোন্দলের কারণেই কলিমুদ্দিনকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় কলিমুদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মন্তব্য করুন