যশোরে দুস্থ রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ডিএসবিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।
খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গরিব ও দুস্থ রোগীদের মধ্যে চেক বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু ছিলেন বিশেষ অতিথি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ, থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালে হলরুমের বারান্দায় ধূমপান করা নিয়ে দুই জনপ্রতিনিধির কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। হট্টগোল শুনে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এগিয়ে আসেন সংসদ সদস্যর নিরাপত্তা কর্মী শহিদুল ইসলাম ও ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন এমপির নিরাপত্তা কর্মী শহিদুল ইসলাম।
এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ডিএসবি এএসআই ফিরোজ হোসেনও হামলার শিকার হন। এ ছাড়া দুপক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনায় আহত হন ছাত্রলীগের এসএম বাপ্পী, আবু বক্কর, সালেহ, রিয়াদ হোসেন, আলী কদর, পরশসহ অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে ৫ জন মনিরামপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস নিশ্চিত করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার আবু দাউদসহ পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
যশোর-৫ মনিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী কালবেলাকে বলেন, যারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় বিকেলে আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
অবশ্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি দাবি করেন, অনুষ্ঠান চলাকালে হলরুমের বারান্দায় সংসদ সদস্যের ভাইপো পরিচয়দানকারী রিয়াদ হোসেন নামে এক যুবক ধূমপান করছিল। তাকে নিষেধ করায় আমার কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় তারা আমার তিন কর্মীকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় মনিরামপুর থানায় অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি এ বি এম মেহেদি মাসুদ।
মন্তব্য করুন