দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, আশ্রয়কেন্দ্রে শত শত পরিবার

নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন বন্যাকবলিতরা। ছবি : কালবেলা
নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন বন্যাকবলিতরা। ছবি : কালবেলা

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সঙ্গে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়নে ৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৭০ পরিবার, মেরুং ইউনিয়নের ৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ পরিবার ও বোয়ালখালী ইউনিয়ন ২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১১৫ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়াও দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

পাশাপাশি উপজেলার কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিতসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জনদুর্ভোগও। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

টানা বর্ষণে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়াসহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা. মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বন্যায় বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এরই মধ্যে অনেক এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসছে।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন, কবাখালী ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৭০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়া চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন : ডা. জাহিদ

বরগুনায় টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার ও সামুদ্রিক আবর্জনা প্রতিরোধে সেমিনার

শীতে ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি নাকি গ্লিসারিন, কোনটি সেরা?

সাত ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটি

মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রলারসহ আটক ২২

উন্নত মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় কৌশল উপস্থাপিত

আসিফের দলে যোগদান বিষয়ে যে তথ্য দিলেন রাশেদ

বিএনপি আধুনিক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মীর হেলাল

চট্টগ্রামে ফিউচারিস্টিক বিডির ‘করপোরেট ফুটসাল কার্নিভাল’

বিএনপির ভোলা সদর কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

১০

পরকীয়া ফাঁস, ১১ তলা থেকে পাইপ বেয়ে পালালেন তরুণী

১১

ক্লান্ত হয়ে আকাশ থেকে পড়ল হিমালয়ান শকুন

১২

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান রয়েছে : প্রধান বিচারপতি

১৩

আসিফের ‘নতুন যাত্রা’ নিয়ে সারজিসের মন্তব্য

১৪

সুখবর পেলেন বিএনপির ৬ নেতা

১৫

পরিবেশ অধিদপ্তরকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা

১৬

যেসব আসনে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

১৭

জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

১৮

নৌপরিবহন উপদেষ্টার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ মেয়র শাহাদাত, নাম প্রকাশের দাবি

১৯

এক যুগ আগে গুম হওয়া ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধান চেয়ে জবিতে মানববন্ধন

২০
X