আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটপাট হয়েছে। পরে অধিকাংশ অস্ত্র, গুলি উদ্ধার হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি গুলিসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২১টি ল্যাপটপ।
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা গত ১২ আগস্ট বিকালে কাজে যোগদান করেন। এ সময় থানার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং লুট হওয়া সরকারি সম্পদের একটি তালিকা করে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় অস্ত্রসহ জরুরি মালামাল লুট হওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ কাজে যোগ দেওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট থেকে গতকাল ১৮ আগস্ট পর্যন্ত থানায় ২০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব অভিযোগের বেশিরভাগ মারামারি ও দুপক্ষের বিরোধের। যা তদন্ত করছে পুলিশ। এ ছাড়া থানায় সার্ভার উপাযোগী হওয়ায় গত ১৭ আগস্ট থেকে সাধারণ ডায়রি গ্রহণ করছে পুলিশ।
১৮ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত চারটি ডায়রি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব ডায়রির বেশির ভাগ হারানো বিজ্ঞপ্তি। তবে গত ৫ আগস্ট থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহত তিনজনের পরিবার থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর কালবেলাকে জানায়, থানার প্রায় ৫ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই কাজ করব। লুট হওয়া মালামাল অনেকেই ফেরত দিচ্ছেন। তবে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত পেতে বার বার আহ্বান জানালেও সেগুলো এখনো ফেরত আসেনি। লুণ্ঠিত অস্ত্রসহ সকল জিনিসপত্র উদ্ধারে সকলের সহযোগিতা চাই।
মন্তব্য করুন