ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মা নদীতে কুমির আতঙ্ক

নদীর তীরে উঠে আসা কুমির। ছবি : কালবেলা
নদীর তীরে উঠে আসা কুমির। ছবি : কালবেলা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে কুমির আতঙ্কে ভীতসন্ত্রস্ত পদ্মাপাড়ের জনজীবন। নদী থেকে রাতের আঁধারে পদ্মা তীরবর্তী লোকালয়ে কুমির উঠে আসায় আতঙ্কে আছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা এবং কর্মজীবী জেলে ও কৃষকরা।

রাতে পদ্মার তীরে কুমির উঠে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা। উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের টিক্কা মুন্সির বাড়ির সামনে পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে রাতে একাধিক কুমির দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা টিক্কা মুন্সী। প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, কুমিরগুলো প্রায় ১০ ফুট মতো লম্বা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির পর বেশ কয়েকদিন থেকেই কুমিরের আনাগোনা বেড়েছে। এর আগে এলাকাবাসী কখনো কুমির দেখেনি। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে দলবেঁধে কয়েকটা কুমির নদীর কিনারা থেকে উপরে উঠে আসছে। মানুষ বা আলোর উপস্থিতি টের পেলে আবার নদীতে নেমে যাচ্ছে। এলাকাবাসী ধারণা করছে কুমিরের একটা ছোট ঝাঁক নদীতে এসেছে।

টিক্কা মুন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুমিরগুলো সাধারণত দিনের বেলায় নদীতে আর রাতের আঁধারে উপরে উঠে আসে। এই কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছে না। যারা নদীতে গোসল করে তারাও গোসল করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হলো কৃষকরা নদীতে পাট জাগ দিতে পারছে না। আর জাগ দেওয়া হলেও সেটা তুলতে পারছে না। এর আগে কখনো নদীতে কুমির দেখা যায়নি।

জেলে আশরাফুল প্রামানিক বলছিলেন, কুমিরের ভয়ে মৎস্য অফিসার, ৯৯৯ এ ফোন দিয়েও সুরাহা পাইনি। দশ দিন হলো নদীতে নামতে পারিনি। কীভাবে সংসার চালাব।

কৃষক ইসরাইল মুন্সি বলেন, নদীতে পাট জাগ দিয়েছি। পাট বিনিয়ে শুকাতে দেব। কুমিরের ভয়ে কেউ নামতে সাহস পাচ্ছে না।

এদিকে পদ্মা নদী সংলগ্ন সাহেবনগর গ্রামেও কুমিরসহ কুমিরের বাচ্চার দেখা মিলেছে। এ নিয়ে সেখানেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা রাজিব হোসেন বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা নির্বাহ করে নদীকেন্দ্রিক। নদীতে কুমির থাকায় প্রত্যাহিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বন বিভাগের ভেড়ামারা রেঞ্জের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে পানির সঙ্গে সঙ্গে কুমিরও এসে থাকতে পারে। শুধু ভেড়ামারা নয় দৌলতপুর, মিরপুরের পদ্মা নদীর তীরেও কুমিরের দেখা মিলেছে। নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরও চলে যাবে। অতিরিক্ত স্রোত থেকে রেহাই পেতে বিশ্রাম নিতে তারা নদী তীরে উঠে আসছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সম্ভাব্য আর চূড়ান্ত মনোনয়ন এক নয় : তানভীর হুদা

প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্বামী, বাইরে থেকে দরজা আটকে দিলেন স্ত্রী

ছয় বছরের ছাত্রের গুলিতে আহত, আদালতের রায়ে চমকে গেলেন শিক্ষক

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার নতুন দিগন্ত : বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সহজতর পথ

পাওয়া গেল মাকড়সার বিশাল আস্তানার সন্ধান

ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ৩ বন্ধু নিহত

ইসরায়েলের স্পর্শকাতর ভিডিও ফাঁস, মধ্যপ্রাচ্যে তোলপাড়

বিমার ২৫ লাখ টাকা নিতে স্বামীকে ‘মৃত বানালেন’ স্ত্রী

১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা কঠিন : আসিফ মাহমুদ

পতেঙ্গায় ২৬ লাখ টাকার বার্মিজ পণ্যসহ আটক ৬

১০

শ্রীমঙ্গলে কর্মবিরতি করে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন

১১

থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন মাইকিং করা বড়ভাই

১২

দেশের ককপিটে তরুণদের বসাতে চাই : জামায়াত আমির

১৩

না বুঝে ভোট দেওয়ার দিন শেষ : নুর

১৪

চীনের সেই বিমানবাহী রণতরী প্রস্তুত, ঘুরিয়ে দিতে পারবে কি যুদ্ধের মোড়?

১৫

দলের মনোনয়ন আমার কর্ম ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের স্বীকৃতি : কাজী আলাউদ্দিন

১৬

জানুয়ারিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা যেতে পারে মেসিকে!

১৭

শাকিব খানের দলে নাম লেখালেন আরেক তারকা

১৮

ধানের শীষের মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ 

১৯

পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি

২০
X