বরিশালে নিজ কার্যালয়ে গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হককে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে হামলার শিকার উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক নিজেই বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসি আনোয়ার হোসেন ও বাদী উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে।
উপসহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে থানায় মামলা করেছি। মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার মারুফ হোসেন জিয়াসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন- ঠিকাদারের সহযোগী প্রিতাস ও আজাদ।’ তিনি জানান, ‘মারুফ হোসেন জিয়া গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদারি করেন। কিছু উন্নয়ন কাজের স্টিমিট করে ঠিকাদাররা ঢাকায় তদবির করে অনুমোদন করিয়ে আনেন। তাই শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডক্টর্স হোস্টেলের ৩০ লাখ টাকার কাজের একটি স্টিমিট ইতোপূর্বে মারুফ হোসেন জিয়া নিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেই স্টিমিটটি হারিয়ে ফেলে নতুন করে আবার স্টিমিট দাবি করতে থাকেন। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের গণপূর্ত উপবিভাগীয় কার্যালয় এসেই স্টিমিট নেওয়ার জন্য সরকারি কাগজপত্র তল্লাশির পাশাপাশি আমাকে ও আমার স্টাফদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। প্রতিবাদ করতেই মারুফ হোসেন জিয়া ও তার অপর দুই সহযোগী সকলের সামনেই আমাকে মারধর করে।’
ওবায়দুল হক বলেন, ‘এর আগেও মারুফ হোসেন জিয়া বেশ কয়েকবার আমাদের কার্যালয়ে এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এমনকি নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়েও তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন। এমন আচরণ করতে গিয়ে উপস্থিত ঠিকাদারদের হাতে মারও খেয়েছে জিয়া।’
তবে প্রকৌশলী ওবায়দুল হকের অভিযোগ অস্বীকার করে মারুফ হোসেন জিয়া বলেন, তেমন কিছু হয়নি। সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অফিসিয়ালি আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা আইনিভাবে মোকাবিলা করব।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলায় উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধর, লাঞ্ছিত ও সরকারি কাগজপত্র নষ্ট করার অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন