চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষ

আ.লীগের ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম আদালতে হামলার পরবর্তী দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম আদালতে হামলার পরবর্তী দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী।

আদালতের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে। এর আগে হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ আরও ৫টি মামলা হয়েছিল। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৩টি, হত্যার শিকার আইনজীবী আলিফের বাবা ও ভাই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম কালবেলাকে জানান, ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে হামলায় আহত করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক জহুর লাল হাজারী, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, নগর যুবমহিলা লীগের নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জিনাত সুহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন কান্তি নাথ, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত আহমেদ, কাজী তানভীর প্রমুখ। মামলার বাকি আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৬ নভেম্বর একটি মামলা নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তিনি চট্টগ্রাম আদালতে আসেন। কাজ শেষে করে বাসায় ফেরার পথে আদালত ভবনের মূল ফটকে রঙ্গম কনভেনশন সেন্টারের সামনে দেখেন আসামিরা সশস্ত্র অবস্থান করছেন। একপর্যায়ে তারা বাদীকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করতে থাকেন। একজন আসামি লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে হাত দেওয়ায় তা পিঠে লাগে। এতে পিঠ থেঁতলে যায়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে বাদী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ কারণে মামলা করতে দেরি হয়।

২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিম্ময় অনুসারীরা আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে প্রিজনভ্যান আটকে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশি অ্যাকশনের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও চারটি মামলা হয়। পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৩৯ জন। এর মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ৯ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি নেজাম উদ্দীন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে যে পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ভারত বধের স্বীকৃতি হিসেবে ৭ লাখ টাকা করে পেলেন হামজারা

নবীজিকে (সা.) স্বপ্নে দেখার ৩ আমল

হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুখবর দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের

বিএনপিতে যোগ দেওয়া সেলিমকে নিয়ে এলডিপি নেতাদের অভিযোগ

কারওয়ানবাজারে সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

উদার-সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনীতির পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে : শিবির সভাপতি

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে কোহলির বড় লাফ

ছাত্রশিবির নেতার বাবাকে গুলি করে হত্যা

১০

দুটি বিষয়ের অনুমোদন পেল নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়

১১

পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

১২

অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা, উত্তেজনা চরমে

১৪

লালমাটিয়ায় এভেরোজ স্কুলে হামলা, শিক্ষক-কর্মচারী আহত

১৫

সুখবর পেলেন প্রাথমিকের ৬৫,৫০২ প্রধান শিক্ষক

১৬

ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

১৭

তারেক রহমানের আসনে যাকে প্রার্থী করল এনসিপি

১৮

বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৯

উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ পদত্যাগ করেছেন

২০
X