চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রণক্ষেত্র সিইপিজেড, হাসপাতালে আহত অনেকে

কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : কালবেলা
কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : কালবেলা

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে সিইপিজেড এলাকা। এতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিইপিজেডের জেএমএসএস ও মেরিনকো নামে দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১৮ শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে। এদের কারো মাথা ফাটা, কেউ শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিক জেএমএস কোম্পানির।

সংঘর্ষের ঘটনা একতরফা ছিল বলে জানান আহতরা। তাদের ভাষ্য, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য দুই কারখানার শ্রমিকরা অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করছিল। এর মধ্যে জেএমএস কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলে শনিবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দেয়। এ সময় ম্যারিমো কোম্পানির একদল শ্রমিক জেএমএস কারখানায় ঢুকে ভাঙচুরসহ কর্মরত শ্রমিকদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক দিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দুদিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়। অন্যদিকে সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাচ ভাঙলে দুপক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়।

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভের একপর্যায়ে জেএমএসএস কারখানায় ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগে শ্রমিকদের দুপক্ষ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা আহতদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মহিবুল (২৬), ফরিদা (৪০), ইলিয়াস (৩৪), বিদ্যুৎ (৩০), শিউলি (২৪), চঞ্চল (২৮) ও মনোয়ারা (৩৩)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তুহিন শুভ্র দাশ বলেন, সিইপিজেড থেকে আসা এ পর্যন্ত ৬১ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান কালবেলাকে বলেন, এটি বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।

ইপিজেড থানার ওসি আখতারুজ্জামান কালবেলাকে জানান, এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কারখানার শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ দুটি কারখানা ঘিরে রেখেছে। এই দুটি কারখানায় ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউটিউবে স্ক্রিন বন্ধ রেখে গান শুনবেন যেভাবে

জাপানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত আমিরের বার্তা

তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

স্কুলছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া

জজের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, শহরজুড়ে আতঙ্ক

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু

মেট্রো চলাচল নিয়ে স্বস্তির বার্তা ডিএমটিসিএলের

বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ

নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে সদস্যদের প্রতি বিমানবাহিনী প্রধানের আহ্বান

১০

সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড

১১

কুড়িয়ে পাওয়া শিশুকে দত্তক নিতে আগ্রহী ৪৫ পরিবার

১২

ব্যাংক এশিয়ায় চাকরি, আবেদন করুন আজই

১৩

দলমত নির্বিশেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি : আব্দুল্লাহ

১৪

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

১৫

‘ফুলেল খেলাঘর আসর’ সংগঠনের যাত্রা শুরু

১৬

জাদুঘর থেকে ব্রিটিশ আমলের ছয় শতাধিক নিদর্শন চুরি

১৭

আজ থেকে মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা

১৮

জুতার ফিতায় ঝুলে ছিল কিশোরের লাশ

১৯

আরও ছয় জাহাজে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

২০
X