বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আকিকার দাওয়াত নিয়ে জামাইবাড়িতে শ্বশুরের হামলা

পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত
পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে আকিকার দাওয়াত নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে শ্বশুর ও তার লোকজন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিতে উপজেলার কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, কেশবপুর গ্রামের মো. সোলেমান হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (জামাতা), তার বাবা সোলায়মান হোসেন, মা আকতারা বেগম, ছোট বোন উম্মে হাবিবা, মামা রাশেদুল ইসলাম ও আবু সাঈদ।

পাল্টা হামলায় শ্বশুরপক্ষের আহত হওয়া চারজন হলেন, বিরামপুর পৌর শহরের হাবিবপুর এলাকার অছিম উদ্দিনের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (সুমনের শ্যালিকা) ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান, আরিফুল ইসলাম ও আল রিমন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেশবপুর গ্রামে সুমন হোসেনের ছেলের আকিকার আয়োজনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে তিনি আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত দেন। তবে শ্বশুরপক্ষের অনেককে নিমন্ত্রণ না দেওয়ায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় সুমনের। একপর্যায়ে সুমন রেগে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেন। এ ঘটনা দেখে জেসমিনের বোন ইয়াসমিন আক্তার ক্ষুব্ধ হয়ে ফোনে তাদের পরিবারের অন্যদের বিষয়টি জানান।

আরও জানা গেছে, খবর পেয়ে জেসমিনের বাবা অছিম উদ্দিন প্রায় ৫০ জন লোক নিয়ে রাত ১০টার দিকে সুমনের বাড়িতে আসেন। সেখানে তারা সুমন, তার বাবা সোলায়মান হোসেন, মা আকতারা বেগম, ছোট বোন উম্মে হাবিবা, মামা রাশেদুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে মারধর করে এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

স্থানীয়রা জানান, হামলার আওয়াজ শুনে গ্রামবাসী ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। মুহূর্তেই গ্রামবাসী দেশি অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে তারা শ্বশুরপক্ষের লোকজনকে ধাওয়া করে মারধর করেন। পাল্টা হামলায় শ্বশুরপক্ষের চারজন আহত হন। গ্রামবাসী কয়েকজন যুবককে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক কালবেলাকে বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় কোনো মামলা হয়নি। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয়রা দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১০

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১১

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

১২

তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে জুলাই আন্দোলন সফল হতো না : মুরাদ

১৩

চট্টগ্রাম নগরীতে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

১৪

‘প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করি’

১৫

মেয়ের জন্য চিপস আনতে গিয়ে প্রাণ হারান মোবারক

১৬

১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় সংকটে মার্কিন ডলার

১৭

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন : অধ্যাপক মোর্শেদ

১৮

তারা ভেবেছে, নারীঘটিত বিষয় নিয়ে প্রচারে আমার ভোট কমে যাবে : আমির হামজা

১৯

পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপিকে চরমোনাই পীরের কড়া বার্তা

২০
X