ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২ নম্বর মেহারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিক্ষুব্ধরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরে তার বিচার চেয়ে ওই বিক্ষোভ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যমুনা গ্রাম মসজিদের ইমাম আবুল কালাম, মেহারী ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এস. এম. শামীম, স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুমন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়ারিশ সনদ, জন্মনিবন্ধনপত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ যেকোনো জরুরি কাগজপত্র পেতে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই ইউনিয়নের একটি চক্র সবার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তারা গ্রামের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন ফি-এর নামে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।’
আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার নাগরিক সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই চক্রটি ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে নানাভাবে হয়রানি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’ মানববন্ধনে চেয়ারম্যানসহ চক্রটির বিচার দাবি করেন তারা।
২ নম্বর মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা রাখা হয় না। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ তুলছে।’
মন্তব্য করুন