লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আ হ ম মোস্তাকুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
আ হ ম মোস্তাকুর রহমান দৈনিক নয়া দিগন্তের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর দিগন্ত পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক। তিনি পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদিলপুর গ্রামের মৃত মাওলানা মহিব উল্যাহর ছেলে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় জেলার কর্মরত একজন সংবাদকর্মীকে মারধর করে পুলিশে দেয় কিছু লোকজন। তখন তার মোটরসাইকেলটি কে বা কারা নিয়ে যায়।
সাংবাদিককে মারধর ও তার মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক আ হ ম মোস্তাকুর রহমান ফেজবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। তবে তাতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এরপর থেকে জামাল উদ্দিন সাংবাদিক মোস্তাকুর রহমানকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তাকে হামলা ও বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্ত করার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে মোস্তাকুর রহমানক সাংবাদিক হিসেবে সার্কিট হাউজে গেলে সেখানেও জামাল উদ্দিন তাকে অপমান অপদস্ত করেন। এসব ঘটনার পর থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সাংবাদিক মোস্তাকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির লক্ষ্মীপুরে আগমন উপলক্ষে নিউজ কাভারেজের জন্য সার্কিট হাউজে যাই। সেখানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামাল অহেতুক বাধা প্রদানসহ গালাগাল করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে জেলার আরেকজন সংবাদকর্মীকে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় একই ব্যাক্তি ফের অসদাচরণসহ হুমকি দেয়। এ দুটি ঘটনার পর নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, সাংবাদিকের দায়ের করা জিডি অনুযায়ী নিয়ম মোতাবেক তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশের কার্যক্রম চলছে।
এদিকে সাংবাদিক আ হ ম মোশতাকুর রহমানকে সন্ত্রাসী হুমকির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন সাংবাদিক নেতারা। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব,মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-লক্ষ্মীপুর, জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, লক্ষ্মীপুর অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ ঘটনায় বিবৃতি প্রদান করেন।
শিগগিরই অভিযুক্ত সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা না হলে প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে মত প্রকাশ করেন স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
মন্তব্য করুন