ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফেনীতে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও সেনা ব্রিগেড দাবি

‘আমরা ফেনীবাসী’র নাগরিক সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি : কালবেলা 
‘আমরা ফেনীবাসী’র নাগরিক সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি : কালবেলা 

ফেনীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চব্বিশের বন্যার পুনর্বাসন ও আসন্ন বর্ষা মওসুমে বন্যা ঠেকানোর প্রস্তুতির তথ্য প্রকাশ, ফেনীতে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, সেনা ব্রিগেড স্থাপন, ভারতকে দেওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল সুবিধা বাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে নাগরিক সমাবেশ করেছে অধিকারভিত্তিক নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘আমরা ফেনীবাসী’।

শনিবার (১০ মে) সকালে ফেনী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও ধারণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সংগঠক স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

সংগঠনের মুখপাত্র বুরহান ফয়সালের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান সংগঠক কেফায়েত শাকিল। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিয়া উদ্দিন মিস্টার, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, সাংবাদিক আব্দুর রহিম, ফেনী সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর আদিত্য আরাফাত, কানাডা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, খেলাফত মজলিস জেলার সভাপতি মাওলানা মোজাফফর আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, ফেনী, বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব বহনকারী এ জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। চব্বিশের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীর প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। প্রাণহানি ঘটে ২৯ জনের। বন্যার ভয়াবহতা দৃশ্যমান হওয়ার পরও পরশুরামের বল্লামুখা বাঁধসহ অন্যান্য বাঁধের টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও মুছাপুর ক্লোজার পুনর্নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। এতে করে আবারও বন্যাকবলিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে ফেনীবাসী।

বন্যার এত দিন অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের শতভাগ পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হয়নি। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজারো মানুষ। দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও মুছাপুর ক্লোজার পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি বন্যার পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে। বিশেষ করে বোট, লাইফজ্যাকেট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে প্রশিক্ষিত টিম গঠন করার জোর দাবি জানানো হয় নাগরিক সমাবেশে।

ফেনী এবং পার্শ্ববর্তী জেলার অর্ধকোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ফেনীতে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। সবদিক থেকে উর্বর হয়েও মেডিকেল কলেজ থেকে ফেনীবাসী বঞ্চিত। এ অঞ্চল শিক্ষার প্রসারে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলেও ফেনীর মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ও উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ফেনীতে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জোর দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, ফেনীকে দেশের নাভি বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ফেনীর বিভিন্ন সীমান্তে নানা উত্তেজনা বিরাজ করলেও এ অঞ্চলে কোনো সেনানিবাস বা সেনা ব্রিগেড নেই। এতে ফেনীবাসী তথা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অনতিবিলম্বে ফেনীতে সেনা ব্রিগেড স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া দেশের নিরাপত্তা ও ভারতের আগ্রাসী মনোভাব বিবেচনায় নিয়ে সোনাগাজী-মিরসরাইয়ে ভারতকে দেওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের দাবি জানানো হয় সমাবেশে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা 

ফ্লাইওভারের সিঁড়ির নিচে বৃদ্ধের মরদেহ

হঠাৎ মেট্রো চলাচল বন্ধ, কারণ জানাল ডিএমটিসিএল

সমালোচনার মুখে সুর পাল্টালেন টুইঙ্কল

৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু 

আইপিএল মিনি অকশনে কে এই মালয়েশিয়ান ক্রিকেটার

ঘরে ঢুকে নৃশংস হামলায় ফুফু নিহত, মুমূর্ষু ভাতিজি

একাই ৪৫০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

ফুসফুসের ক্যানসার নিয়ে যে ভুল ধারণাগুলো আমাদের বেশি ক্ষতি করছে

২৫ বছর আগের চেয়ে বেশি ‘চাঙ্গা’ বলে বৈঠকেই ঘুম

১০

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না 

১১

শীত আরও বাড়বে কি না জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১২

নওগাঁয় শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে 

১৩

জুলাই আন্দোলনে আহত না হয়েও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন যুবক

১৪

চিড়িয়াখানায় সিংহের কাছে গিয়ে প্রাণ হারাল কিশোর

১৫

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি

১৬

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনসিপির সদস্য সচিব

১৭

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

১৮

ইতিহাস বদলে দিল বাংলাদেশ, যা আগে কখনো ঘটেনি

১৯

মেহেদির রং না শুকাতেই নববধূ ইলমা বিধবা

২০
X