নড়াইলে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়কে।
সন্তানের মতো লালন করা ষাঁড়টির গায়ের রং কালো। তাই ষাঁড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। ষাঁড়টি বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।
জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা মিলটন হোসেন সিকদার (৪২)। তার সাড়ে ৪ বছর বয়সী ব্ল্যাক ডায়মন্ডের ৬টি দাঁত। সুঠাম দেহের অধিকারী ষাঁড়টির উচ্চতা ৬ ফুট ও লম্বায় প্রায় ১১ ফুট। এরই মধ্যে ষাঁড়টি দেখতে খামারে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
চিত্রা এগ্রো ফার্মের মালিক খামারি মিলটন শেখ বলেন, ফার্মে কোরবানির জন্য ৫৭টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ফার্মের একপাশে আলাদাভাবে পরিচর্যা করা হয় তাকে। সারা দিন ফার্মের ভেতর দিন কাটে তার। ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখতে হয় ফ্যান ও লাইট। খাদ্য তালিকায় রয়েছে শুকনো খড়। তাছাড়া ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়ানো হয়। তার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কাঁচা ঘাসও রয়েছে। গরমের মধ্যে শ্যাম্পু ও সাবান দিয়ে গোসল করানো হয় দিনে দুই থেকে তিনবার।
তিনি বলেন, প্রায় চার বছর ধরে ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে আমি সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করছি। আমি এটিকে বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। আমার ইচ্ছা ভালো ক্রেতা পেলে বাড়ি থেকে দাম কম-বেশি করে বিক্রি করে দেব।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা মোট ৫৪ হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ২৩ হাজার ২৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া ৩১ হাজার ৩৫২টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ৫১৬টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলায় ৯টি পশুর হাট রয়েছে। প্রতিটি হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। আমাদের ৫টি মেডিকেল টিম আছে। মেডিকেল টিমের মূল কাজ হলো হাটে গরু এসে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া। এ ছাড়া যদি কোনো খামারি অবৈধ উপায়ে গরুকে মোটাতাজা করেন তাহলে সেটি চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া।
মন্তব্য করুন