ফেনীতে মাদকের মামলায় পলাশ চন্দ্র দাস (৩৮) নামে একজনের গ্রেপ্তারের ১০ বছর পর ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউছুফ এ রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই মামলার অপর আসামি বাবুল চন্দ্র দাসকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন। তিনিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাশ চন্দ্র দাস (৩৮)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের কিরণ চন্দ্র দাসের ছেলে।
আদালত পাঁচজনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মানিক ও খালাসপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন মানিক। রায় ঘোষণাকালে আসামিদ্বয় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ বাজারে স্কুল রোডে মনিকা ডিজিটাল স্টুডিও ভিডিও দোকানের সামনে থেকে পলাশ চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফেনী সার্কেলের তৎকালীন পরিদর্শক আবুবকর সিদ্দীক বাদী হয়ে পলাশ চন্দ্র দাস ও বাবুল চন্দ্র দাসসহ দুজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক বলেন, মাদকের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পলাশ চন্দ্র দাসকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক অহিদুল ইসলাম তালুকদার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মন্তব্য করুন