নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মোট আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯৩ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও রপ্তানি খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে। যার ফলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি।
রোববার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের হলরুমে পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, সরলরৈখিক ও প্রশস্ত চ্যানেল, বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দেশের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রা বন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবালের সভাপতিত্বে প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভির টিম লিডার মেনো মুইজ।
অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দরের মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের অপর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন বুয়েট টিমের লিড কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভির প্রতিনিধি এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন