নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিপুল গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে রায়পুরা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সোহেল মিয়া (৪০) উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সম্প্রতি গৃহবধূ শান্তা ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসেন সোহেল। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদে পূর্ব শত্রুতার জেরে হানিফ মাস্টার গ্রুপ এবং এরশাদ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাবের সমন্বয়ে ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পালানোর সময় মেঘনা নদী থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি এসবিবিএল একনলা বন্দুক, চারটি একনলা দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুটি সিলভার কালারের ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, চার রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১২টি শটগানের সিসা কার্তুজ, তিনটি মোবাইল ফোন, ইউএস ডলার ও নগদ অর্থসহ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেলের বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলা, দুটি অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও ছয়টি মামলাসহ সর্বমোট ১২টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রায়পুরার চরাঞ্চল সায়দাবাদ ও বালুরচর এলাকার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সোমবার ভোরে বালুর চরের এরশাদ গ্রুপের লোকজন সায়দাবাদ গ্রামে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সায়দাবাদ গ্রামের হানিফ মাস্টার সমর্থক আক্তার মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগমকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া আহত হয় মহরম আলীর ছেলে নাজিমুদ্দিন, জামাল মিয়ার ছেলে সিয়াম, মনির মিয়ার ছেলে মাহিন, তাজুল ইসলাম ও রানা মিয়া।
মন্তব্য করুন