ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ভ্যাট ও আয়করের অর্থ পরিশোধের জন্য সচিবের নিকট দিলেও আজ পর্যন্ত সচিব জমা দেননি। এমনকি ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধের অফিসিয়ালি কোনো ডকুমেন্টসও দেখাতে পারেনি। তবে সচিবের দাবি ভ্যাট ও আয়করের ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে মকরধ্বজপুর জরিনার বাড়ি হতে খাল অভিমুখে ড্রেন নির্মাণ, ভৈরবা হাটের ড্রেনের ওপর ইটের গাঁথুনি ও প্লাস্টার। বাঁশবাড়ীয়া আতিয়ারের বাড়ির উত্তর পাশ হতে কোদলা নদী অভিমুখে ড্রেন নির্মাণ, ভৈরবা শুকুর আলীর বাড়ির সামনে বক্স কালভার্ট নির্মাণ, মতিলালপুর মোড় হতে শাকোরখাল হাসপাতাল অভিমুখে রাস্তার পাশে ড্রেন সংস্কার ও ভোলাডাঙ্গা কাচা বাজারের হাট চালি সংস্কার বাবদ বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১% এর ভ্যাট ও আয়করের অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিলেও আজ পর্যন্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের ভ্যাট ও আয়করের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেননি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬ মাস কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ সময় ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে এর ভ্যাট ও আইটি বাবদ ১ লাখ ৫২ হাজার ২শ টাকা আমি সচিবের নিকট দিয়ে দিয়েছি। তিনি এ টাকা অফিসে জমা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। তিনি আরও জানান, যদি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে থাকে তাহলে তিনি নিজে নিশ্চিত আত্মসাৎ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলাম বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের ৪ লাখ টাকা সারকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০ লাখ টাকা কোথায় গেল জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, আমি বিষয়টি জানার পর বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহুরুল ইসলামকে টাকা পরিষদের রশিদ দিতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি এখনো দেননি। তাই তিন কার্যদিবসের মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১% এর সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভ্যাট ও আয়করের রশিদসহ হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন