বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া নারী মুক্তিযোদ্ধা, যাকে পাকিস্তান গ্রেপ্তার করে। তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন বীর উত্তম। হাসিনা সেই মুক্তিযুদ্ধ হাইজ্যাক করে তার ভ্যানিটি ব্যাগে ভরেছিল।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা হাসিনার ব্যাগে উঠেছে। হাসিনা কয়েক টাকা মসোহারা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী বাজার মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আমরা ভুলে যাই আওয়ামী লীগ অতীতে কী করেছে। এ ১৬ বছর আমাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। আমাদের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল দিয়েছে। উনি বীরের মতো হাসতে হাসতে জেলে গেছেন। হাসিনা যখন চলে গেল উনি জেল থেকে বের হলেন হুইল চেয়ারে।
তিনি আরও বলেন, যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারেন কিসের মুক্তিযোদ্ধা আপনারা। ১৬ বছরে হাসিনা আপনাদের ঘুষ দিয়ে দিয়ে অন্যায় করিয়েছে। আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের বদনাম করেছেন। তার জন্য আজকে সুযোগ পাচ্ছে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে। এ দায় কার? এ দায় গুটি কয়েক মুক্তিযোদ্ধার।
টুকু বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমারও সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা নয়। এ জন্য আজকে জামায়াতে ইসলামী কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাচে লেখা আছে অতন্ত্র প্রহরী। আপনারা একাত্তরে অতন্ত্র প্রহরী ছিলেন কিন্তু হাসিনার শাসন আমলে আপনারা কেউই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চেয়ে খারাপ কাজ কম করেন নাই।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন শ্মশান। এ অন্তর্বর্তী সরকার এসে অনেক চেষ্টা করছে দেশকে একটি জায়গায় নেওয়ার জন্য।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, একটি দল ধর্মের নামে রাজনীতি করে জনগণকে ধর্মের সার্টিফিকেট, বেহেশতের টিকিট পাওয়ার কথা বলে সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের ছলচাতুরী ও ধর্মের নামে রাজনীতি থেকে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।
নাগরিক সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
বহুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলীর সঞ্চালনায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়ন সিরাজগঞ্জ-১ (সদরের আংশিক-কাজিপুর) থেকে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন