চট্টগ্রাম কাস্টমসে ঘুষকাণ্ডে নতুন মোড়। পণ্য ছাড়ের সময় ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মাইনুদ্দীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায়ও কারাগারে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত মাইনুদ্দীনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)। দুদকের চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ের একটি টিম ছদ্মবেশে কাস্টমস হাউসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে রাজীব রায় ও মাইনুদ্দীন। পরে দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন জানান, পণ্য ছাড় করানোর সময় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মাইনুদ্দীন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আমির হোসেন জাপান থেকে ভাঙা প্লাস্টিক ও বাতিল অংশ আমদানি করেন। চালান ছাড়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেও শুল্কায়ন সেকশন-৭(বি)-এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও মো. ছারওয়ার উদ্দিন অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে পণ্য ছাড়ে বিলম্ব এবং নিলামে বিক্রির হুমকি দেওয়া হয়।
ঘুষের অভিযোগ দায়েরের পর দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয় বিশেষ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। মাইনুদ্দীন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। রাজীব রায় কারাগারে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন