খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। বিক্ষোভে দোষীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জেলার বাসিন্দারা। মিছিলটি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে জেলার চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়া, আদালত সড়ক, নারকেল বাগান ঘুরে শাপলা চত্বর এলাকায় এসে শেষ হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেত। তবে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ওই শিক্ষকের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন অন্যদিনের সময়সূচি অনুযায়ী প্রাইভেট ছুটি হয়েছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে আশপাশের এলাকায় খুঁজতে থাকেন তারা। একপর্যায়ের রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে একটি ফসলের ক্ষেতে পাওয়া যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে কোনো নারী নিরাপদ নন। বিচার না হওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের ২৭ জুন ও গত সপ্তাহেও দুই শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করা উক্যেনু মারমা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে আগামীকাল আধা বেলা সড়ক অবরোধ করা হবে। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন করা হবে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, অচেতন অবস্থায় পাওয়ার পর তার মেয়েকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারীসংঘ।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আবদুল বাতেন বলেন, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন