কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচার চক্রের বড় একটি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) পরিচালিত এক অভিযানে মানব পাচারে জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ছয়জন হলেন মোছা. শামসুন্নাহার (৩৫), হোসনে আরা (৩১), নুরুন্নিসা (৪৯), মোহাম্মদ ইসমাইল (৫০), হারুন (৩৫), ইউসুফ আলী (৪৭)। পালিয়ে থাকা আসামিদের মধ্যে কালু মিয়া (৩৫) ও হাশেম মোল্লাসহ (২৫) আরও দুজনকে আটক করতে অভিযান চলছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সূত্রে খবর আসে, সাগরপথে মিয়ানমার থেকে পাচার করে বেশকিছু বিদেশি নাগরিককে পাচারকারী চক্র টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে। এ ছাড়া তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। পাচারকারীদের এ ভয়ংকর দুরভিসন্ধি আঁচ করতে পেরেই তৎপর হয়ে ওঠে বিজিবি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান শুরু হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযানে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বিজিবির কঠোর নজরদারি এবং তৎপরতার কারণে মিয়ানমার থেকে লোকজনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচারের দুরভিসন্ধি সম্পূর্ণরূপে ভেস্তে যায়।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি সদস্যরা মোছা. শামসুন্নাহারের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় চক্রের দুই সদস্য পালিয়ে গেলেও বাড়ির ভেতর প্লাস্টিকের ছাউনির একটি ঘর থেকে বাড়ির মালিক মোছা. শামসুন্নাহারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, টাকার বিনিময়ে তারা পাচারকারীদের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
আশিকুর রহমান বলেন, আটক ছয়জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। বিজিবি মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের জীবন রক্ষায় সাহসী ও কার্যকরী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন