বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে ১৫টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।
রোববার (৫ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আরশাদুর রউফ, ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
যে ১৫টি ক্লাব নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে সেগুলো হলো— এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদপুর ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ভাইকিংস্ ক্রিকেট একাডেমি, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমি, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব, আলফা স্পোর্টিং ক্লাব।
উল্লেখ্য, বিসিবি নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই একের পর এক নাটক হচ্ছে। তপশিল ঘোষণার পর থেকেই নানা ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরাও। সর্বশেষ মেজর (অব.) ইমরোজ ও লুতফর রহমান বাদলের সরে দাঁড়ানো এবং আর দুই প্রার্থীর সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেই নিশ্চিত হয়েছে বিসিবির নতুন বোর্ডের সম্ভাব্য ১২ পরিচালকের নাম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১২ পরিচালক হতে পারেন ইসতিয়াক সাদেক (ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব), আদনান রহমান দীপন (রূপগঞ্জ টাইগার্স), ফায়াজুর রহমান মিতু (উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব), আবুল বাশার (প্রাইম ধলেশ্বর), আমজাদ হোসেন (ঢাকা স্পারটান্স), শানিয়ান তানিম নাভিন (ঢাকা মেরিনার ইয়াংস), মো. মোখছেদুল কামাল (গোল্ডেন ঈগলস), মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া (ভিক্টোরিয়া এসসি), এম নাজমুল ইসলাম (ট্যালেন্ট হান্ট), ফারুক আহমেদ (রেঞ্জার্স ক্রিকেট), মো. মনজুর আলম (রেগুলার স্পোর্টিং ক্লাব) ও মেহরাব আলম চৌধুরী (যাত্রাবাড়ী ক্রীড়া চক্র)।
সরকারি হস্তক্ষেপসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন প্রায় দেড় ডজন প্রার্থী। ক্যাটাগরি-২ ঢাকার ক্লাব থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৫ জনের মতো প্রার্থী। এরপর তাদের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল—বর্তমান বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। অথবা অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দেওয়া হোক। প্রয়োজনে বর্তমান তপশিল বাতিল করে নতুন করে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু একটা দাবির ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করেনি ক্রীড়া প্রশাসন।
মন্তব্য করুন