

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় একসঙ্গে সাফল্য অর্জন করেছে যমজ দুই বোন—পূজা রানী রায় ও পলি রানী রায়। দুই বোনের একযোগে চান্স পাওয়ার খবরে পরিবারসহ পুরো এলাকাজুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার।
গত ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে পূজা রানী রায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে এবং পলি রানী রায় নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
সফল দুই শিক্ষার্থীর বাবা ভূপেন্দ্র নাথ রায় একজন কৃষক এবং মা শান্তনা রানী মহন্ত বিনয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। তাদের বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের খগের হাট এলাকায়।
পূজা ও পলি তাদের শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন বিনয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তী সময় তারা বিনয়পুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তারা রংপুরের রেটিনা কোচিং সেন্টারে কোচিং নেন।
শিক্ষাজীবনে পলি রানী রায় বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ২০২৩ সালে গোল্ডেন প্লাসসহ বৃত্তি অর্জন করে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হন। এ ছাড়া পূজা ও পলি—দুই বোনই ২০২৩ সালে বিনয়পুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন প্লাস নিয়ে মাধ্যমিক এবং চলতি বছর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন প্লাসসহ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। একই সঙ্গে তারা ট্যালেন্টপুল বৃত্তিও লাভ করেন।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের বিষয়ে পূজা রানী রায় জানান, তিনি ভবিষ্যতে একজন কার্ডিওলজিস্ট হতে চান। অপরদিকে পলি রানী রায় একজন গাইনোকোলজিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
২০০৬ সালের ১৫ জুলাই জন্ম নেওয়া এই যমজ বোনদের বড় বোন যুক্তি রানী রায় বর্তমানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
একসঙ্গে দুই মেয়ের এমন সাফল্যে আবেগাপ্লুত মা-বাবা বলেন, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলেই আজ তারা এই সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা খুবই গর্বিত।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ১০০ জন এবং বিডিএস কোর্সে ৫৪৫ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি মেডিক্যালে এমবিবিএস কোর্সে ৭ হাজার ৫০৬ জন এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৪০৫ জন সুযোগ পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন