নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দলীয় সভায় কাঁদলেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সোনাগাজী উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবুল বসারের সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভায় বক্তব্যকালে দলের জন্য নিজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অপপ্রচারের জন্য কাঁদেন মনোনয়ন বঞ্চিত এই নেতা।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমি নাকি আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জয়ী করতে পারিনি। অথচ আমার সঙ্গে নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ৪০ বছর পারিবারিক সম্পর্ক। যারা সোনাগাজীর রাজনীতির ইতিহাস জানে না তারা আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে। তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, আমি নাকি চেয়ারম্যানকে হারিয়েছি। আমি কী করে এমপি নির্বাচন করব।
তিনি আরও বলেন, আমার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের তুখোড় নেতা ও ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ফেনীর ইতিহাসে খাজা আহাম্মদ নবাবপুরের নাম লেখা থাকবে। আমি আপনাদের কাছে বিচার চাইলাম। আমি রাজনীতি করব। এই জনপ্রতিনিধি হওয়ার রাজনীতি আমি আর করব না। ফেনী জেলার একটি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছে। এর দায়-দায়িত্ব আমাকে নিতে হয়েছে। দেলোয়ার সাহেব কী কারণে ফেল করেছে তা আপনারা সবাই জানেন।
আমি যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম, তিনি তখন আমাকে বললেন, তোমার ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফেল করেছে এখানেই তো তোমার সব শেষ। আপনাদের ভালোবাসায় আমি রাজনীতিতে এসেছি। এখন যদি আমার রাজনীতি শেষ হয়ে যায় আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
এ সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরাও কাঁদতে থাকেন।
ফেনী-৩ (দাগনভূঞা ও সোনাগাজী) ১৩ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্য থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বায়রার সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল বাশারকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন