কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দর রমনাঘাট এলাকায় সাধারণ যাত্রীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার দখল করে সাটার লাগানোর অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ভাগিনা রমনা ঘাট ইজারাদার শহিদুল্লাহ কায়সার ইমুর বিরুদ্ধে। সাটার লাগানোর সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান স্বপনসহ স্থানীয়রা বাঁধা দিলে কাজ বন্ধ করেন নির্মাণ শ্রমিকরা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় যাত্রী ছাউনিটি দখলমুক্ত করা হয়।
এরপর স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. মিনহাজুল ইসলাম। ইউএনও বলেন, যাত্রী ছাউনিটি উন্মুক্ত রাখতে সাটারগুলো খুলে ফেলা হচ্ছে। বাকিগুলোও দ্রুত খোলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী নদীবন্দরের পথচারীদের জন্য তৈরি করা বজরা দিয়ার খাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন যাত্রী ছাউনিটির মাঝে ইটের দেয়াল দিয়ে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যার সম্মুখে সাটার লাগিয়ে দখলের পায়তারা করছেন ঘাট ইজারাদার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউএনওর নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার যাত্রী ছাউনির একটি অংশের লাগানো সাটারগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। দ্রুত বাকি অংশেরও সাটারগুলো খুলে ফেলা হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান স্বপন জানান, যাত্রী ছাউনি সম্মিলিত জনসাধারণের জন্য। এটা ব্যবহার করবে জনগণ। এখানে প্রতিমন্ত্রীর ভাগিনা শহিদুল্লাহ কায়সার ইমু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জনসাধারণের সম্পদ দখল করেন। পরে আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রশাসনকে ব্যাপারটি জানিয়েছি। এরপর প্রশাসন যাত্রী ছাউনি দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে যাত্রী ছাউনি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাট ইজারাদার শহিদুল্লাহ কায়সার ইমু বলেন, আমি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নই। টিকিট বিক্রি, যানবাহনের নৈশপ্রহরীর বিশ্রামের জন্য পরিত্যাক্ত ওই ঘাট শেডটি সংস্কার করেছিলাম। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারণ করায় সেটা বন্ধ রেখেছি।
মন্তব্য করুন