আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর দাম রাতারাতি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এতে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ এক দিন আগে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় শনিবার থেকে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষজন।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। দাম বৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়ে গেলাম। একদিন আগে পেঁয়াজ ক্রয় করলাম ৮০ টাকা দরে। আজ তা কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। এভাবে হঠাৎ করে দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যাব। আমরা চাই যেন দাম কমে আসে। আগে পেয়াজ কিনতাম ১ কেজি দেড় কেজি এখন দাম বাড়ার কারণে ২৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম কিনছি।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে। মোকামেও পেঁয়াজ সংকট। দেশি পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত বাজার স্বাভাবিক হবে না।
হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, আগের অনুমতি থাকায় শনিবার দুপুর থেকে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। কাল রোববার থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া ৮০০ মার্কিন ডলারের রপ্তানি মূল্যে আমরা হিলি বন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করছি। কিন্তু ইতোমধ্যে ভারত সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এমন হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন