শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়ংকর বোমা বানাতেন তারা, কক্সবাজারে গ্রেপ্তার কমান্ডার

উদ্ধার করা ককটেল এবং বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম। ছবি : কালবেলা
উদ্ধার করা ককটেল এবং বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে হাতবোমা, বিস্ফোরক সদৃশ দ্রব্য উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ অভিযানে রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরসার লজিস্টিক কমান্ডার হাফেজ রহমত উল্লাহসহ তিন সদস্যকে র‌্যাব-১৫-এর একটি দল গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ১৫টি ককটেল, আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, দেড় কেজি মারকারি, একটি ওয়াকিটকি, ৫৩টি সার্কিট, ৯ বান্ডিল সামরিক বাহিনীর ন্যায় পোশাক তৈরির কাপড়, ৭০টি গেঞ্জি, ১২টি টুপি, ১৩০টি হ্যান্ড গ্লোভস, টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩-এর এ/২ ব্লকের আরসার লজিস্টিক কমান্ডার হাফেজ রহমত উল্লাহ (৩৫) এবং তার দুই সহযোগী ক্যাম্প-৫ এর ই/৬ ব্লকের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুর আলম (২৩) ও একই ক্যাম্পের বি/৪ ব্লাকের কামাল হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৫)।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে কক্সবাজার সদর উপজেলার কলাতলী আদর্শগ্রাম এলাকার একটি বাড়িতে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। একই দিন দুপুরে র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, লজিস্টিক কমান্ডার হাফেজ রহমত উল্লাহ আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ এবং সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ওস্তাদ খালেদের নির্দেশে কক্সবাজার শহরে ভাড়ায় বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কক্সবাজার থেকে আরসার জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট, বোমা ও মাইন বানানোর বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ করার দায়িত্ব পালন করেন।

হাফেজ রহমত উল্লাহর বরাত দিয়ে র‌্যাব আরও জানান, আরসা প্রধান এবং সামরিক শাখার ডিমান্ড অনুয়ায়ী রহমত উল্লাহ ইউনিফরমের কাপড়, শীত বস্ত্র, রেইন কোট, বুট জুতা, মোজা, বেল্ট, ক্যাপ, ব্যাগ এবং বোমা ও মাইন বানানোর জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, মারকারি (পারদ), ফোম, টর্চ লাইট, ব্যাটারি, ব্যাটারির ক্যাপ, ইলেকট্রিক তার, ইলেকট্রিক ক্লিপ, ছোট টেবিল ঘড়ি, ছোট লাইট, লোহার রড, সিমেন্ট, ছোট লোহা, পাইপ, কাচসহ নানা ধরনের বোমা ও মাইন তৈরির সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কাছে পৌঁছে দিতেন। আর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন নুরুল ইসলাম এবং মঞ্জুর আলম।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রকৌশলীদের মর্যাদা রক্ষায় আইইবি’র ৫ দফা দাবি

পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লিগপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত, রিয়াল-বার্সার প্রতিপক্ষ কারা?

সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ভিডিওটি ভুয়া

আজীবন থাকা, কাজ ও ব্যবসার সুযোগ দেবে সৌদি, কত টাকা লাগবে

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এবার যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের 

ফিফা কোয়ালিফায়ারে শেষবারের মতো নামছেন মেসি, জানালেন নিজেই

অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে রেখে স্বাস্থ্যকর্মীর টিকটক, অতঃপর...

গকসু নির্বাচন : রেকর্ডসংখ্যক মনোনয়ন বিতরণ 

১০

চট্টগ্রামে হবে আইইসিসি মাল্টিডেস্টিনেশন এডুকেশন এক্সপো 

১১

চব্বিশের বিজয়ীদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ : কাদের সিদ্দিকী

১২

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

প্যানেলে তন্বির জন্য পদ শূন্য রাখলেও একই পদে লড়ছেন বাগছাসের এক নেতা

১৪

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুই ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা

১৫

আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক জোট

১৬

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ : এনামুল হক চৌধুরী

১৭

জিপিএ ৫ পেয়েও দ্বিতীয় ধাপে কলেজ পায়নি ১৪১৮ জন

১৮

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বড় রদবদল

১৯

রাজশাহীর প্রবীণ সংবাদপত্র এজেন্ট হেকমত উল্লাহ মারা গেছেন

২০
X