সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় যুবলীগের বিদ্যুৎ গ্রুপ ও শিপলু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যুৎ গ্রুপের ৫ জন ও শিপলু গ্রুপের ১ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর পাঠানটুলা এলাকার স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহতরা হলেন- সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার আব্বাসের ছেলে রশিদ (৩৫), জালালাবাদ থানার গোয়াবাড়ি এলাকার আলী (৩৩), একই থানার নতুন বাজার এলাকার বিরেন্দ্র দাসের ছেলে বিদ্যুৎ (৩৫) ও পল্লবী রোডের মৃত আলী আব্বাসের ছেলে শিপলু। এছাড়া জামাল ও কয়েস নামে আরও দুজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গুরুতর আহত আলীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি সবাই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
জানা গেছে, বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল যুবলীগ নেতা শিপলুর নিয়ন্ত্রনাধীন জুয়ার বোর্ডে হানা দেয়। এ ঘটনায় বিদ্যুৎ গ্রুপকে দোষারোপ করে শিপলু গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
রাত পৌনে ৯টার দিকে বিদ্যুৎ গ্রুপের নেতাকর্মীরা স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় শিপলু গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের আলীসহ পাঁচজন আহত হয়। এসময় পাল্টা হামলায় আহত হয় শিপলু গ্রুপের শিপলু।
কোতোয়ালি থানার ওসি মইন উদ্দিন শিপন কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন