কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী এবং টেকনাফে হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। এর আগে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে গোলাগুলি শুরু হয় ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে। ভোররাত থেকে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। রোববারও (৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যাপক গোলাগুলি চলে।
এদিকে এ পরিস্থিতিতে গোলাগুলির মধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় উলুবনিয়া সীমান্ত থেকে এক রোহিঙ্গা পরিবারকে আটক করেছে বিজিবি।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, ভারী অস্ত্রের গুলি ও মর্টার শেলের শব্দে সীমান্ত এলাকা কাঁপছে। সে সঙ্গে আকাশে যুদ্ধ হেলিকপ্টার দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে গুলি ও বোমা ছোড়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্রোহীদের দখল করে নেওয়া অঞ্চল উদ্ধার করতে হামলা চালাচ্ছে সরকারি সামরিক বাহিনী। সীমান্তজুড়ে তীব্র গোলাগুলিতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
বেলা ১১ টার দিকে মিয়ানমার থেকে উলুবনিয়া সীমান্ত পার হয়ে একটি রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে ঢুকে পড়লে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করেন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও তাদের সঙ্গে তিন শিশু রয়েছে।
হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এলাকার জালাল আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার সময় থেকে মিয়ানমারের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি এবং বোমার শব্দ আমরা শুনতে পাচ্ছি। ভয়ে সীমান্ত থেকে লোকজন সরে যাচ্ছে। অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
ঘুমধুম এলাকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, গতকাল ব্যাপক গোলাগুলিতে তিনটি গ্রামের লোকজন এলাকা ছাড়া হয়েছে। সকাল থেকে আবারো গোলাগুলি চলছে।
টেকনাফ-২ বিজির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
মন্তব্য করুন