বগুড়া শহরের সাতমাথায় মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ষষ্ঠ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আগুনের উত্তাপ ও ধোঁয়ায় ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উত্তরাঞ্চলের ওষুধের পাইকারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত এই মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলায় ৩২টি দোকান ওষুধের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার ওষুধসহ সরঞ্জাম পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা জানায়, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। ৬ষ্ঠ তলায় অভি মেডিকেল হলের গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক তা নেভানোর চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক জানান, বগুড়া শহরের ৪টি ইউনিট ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চার উপজেলা থেকে আরও ৪টি ইউনিট আগুন নেভাতে সহায়তা করে। ৮তলা ওই মার্কেটের ওপর তলায় ১০ জন লোক আটকা পড়েছিলেন। আগুনের উত্তাপ ও ধোঁয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আগুনে একটি সম্পূর্ণ এবং পাশের দুটি আংশিক অংশ ছাড়াও আশপাশের ২০টি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। তাই আগুনের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে তদন্ত করা হবে।
অভি মেডিকেল হলের সত্ত্বাধিকারি সাইদুল ইসলাম জানান, তার গুদামে থাকা প্রায় ৪০ লাখ টাকার ওষুধ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ওই মার্কেটের অপর ব্যবসায়ী মতিউর রহমান জানান, আগুনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের পানিতে অধিকাংশ দোকানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে সহায়তা করার বিষয়টিও বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন