ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। ভেঙে পড়েছে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাতিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। উপজেলার নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার ও টানা বর্ষণের পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে দ্বীপের সব কয়টি গ্রাম।
এ ছাড়াও হাতিয়ার চর, সোনাদিয়া, তমরদ্দি, সুখচর, চরকিং, কেয়ারিংচর, চরইশ্বর, চতলা ঘাট বয়াচর, নলেরচর, চরগাশিয়াসহ উপকূলীয় তীরসমূহে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ না থাকায় রোববার (২৬ মে) জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে কাঁচা ঘর, ভেঙে গেছে অনেক বসতভিটা। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি মাছের ঘের, মৌসুমি বিভিন্ন ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এ মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিস্তারিত জানা যাবে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে লবণাক্ত পানির বিষাক্ততা ও সুপেয় পানির সংকটের কারণে সাধারণ মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, এলার্জি (চর্ম) রোগসহ নানাবিধ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, হাতিয়াবাসীর প্রাণের দাবি হাতিয়ার জনবসতি চর এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ভাঙা বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ করা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নদী ভাঙনরোধসহ জনসাধারণকে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে।
এদিকে রোববার রাত ১২টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা শহরসহ পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) সারা দিন জেলাজুড়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন