ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীর ডেমরায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। গত সোমবার (২৭ মে) থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এখানকার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিদ্যুতের এ দীর্ঘ লোডশেডিং আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশু ও বয়স্ক সকলেই সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
এ দীর্ঘ সময়ে লোডশেডিং থাকার ফলে পানির মোটর, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মোবাইল ও ইন্টারনেটসহ সকল প্রকার সেবা বন্ধ হয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মটর চালিয়ে গভীর নলকূপ থেকে পানি উঠাতে না পেরে হাজারো পরিবারের রান্নাবান্না, সুপেয় খাবার পানি, টয়লেট ও গোসলসহ নানা কাজে সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী।
দিনমজুর আবুল কাসেম বলেন, ‘আমরা তো বড়লোক না পানি কিনে খাওয়ার সাধ্য নাই। এখন বাড়িওয়ালা পানি তুলতে পারছেন না কারেন্ট না থাকায়, অনেক সমস্যা হচ্ছে আমাগো গরিব মানুষের।’
এ সমস্যা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সিদ্ধিরগঞ্জ, সারুলিয়া ও মাতুয়াইল জোনের কন্ট্রোল রুমসহ নির্বাহী প্রকৌশলীর ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চেয়েছেন।
এক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি, সারুলিয়া ও মাতুয়াইল ডিপিডিসি কন্ট্রোল রুমে ফোন করে গ্রাহকরা নানামুখী হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে গ্রাহকেরা বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির অন্তর্ভুক্ত শিমরাইল, শুকুরসী, বালুরঘাট, সারুলিয়া এলাকা, সারুলিয়া ডিপিডিসির অন্তর্ভুক্ত হাজিনগর, টেংরা, বামৈল, বাঁশেরপুল, আমতলা এলাকা এবং মাতুয়াইল ডিপিডিসির অন্তর্ভুক্ত কোনাপাড়া, মাতুয়াইল, মুসলিমনগর, শান্তিবাগ, ফার্মের মোড় ও ডগাইর এলাকায় পর্যায় ক্রমে ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় অধিবাসীরা শেষ পর্যায়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। এদিকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওইসব এলাকায় ঘন ঘন অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে এনওসিএস, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী কালবেলাকে বলেন, হাজারো অভিযোগকারী রয়েছে। আমরা কয়টা সমাধান করব। আর কন্ট্রোল রুমে ফোন রিসিভ ও কেটে দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা রয়েছে। অনেক অভিযোগ আসে বলে ফোন ব্যস্ত থাকে।
মন্তব্য করুন