শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোরবানির হাট কাঁপাবে ১২০০ কেজির ‘রাজা বাহাদুর’

১ হাজার ২০০ কেজি ওজনের ‘রাজা বাহাদুর’। ছবি : কালবেলা
১ হাজার ২০০ কেজি ওজনের ‘রাজা বাহাদুর’। ছবি : কালবেলা

কোরবানি ঈদে শেরপুরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ১ হাজার ২০০ কেজি ওজনের ‘রাজা বাহাদুর’ নামে একটি গরু। যার খাবারের তালিকায় রাখতে হয় আপেল-কলাসহ পুষ্টিকর খাবার। ওজন, আকৃতি ও সৌন্দর্য চোখ ধাঁধানো হওয়ায় তাকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন আশপাশের মানুষেরা। তারা বলছেন, জেলার সবচেয়ে বড় গরু এটি। আর গরুর মালিকের আশা, ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন শখের গরুটি। কাঁচা ঘাস, খড়, ভুসি, ভুট্টার গুঁড়া ও খৈল ছাড়াও খাবারের তালিকায় রাখতে হয় আপেল-কলাসহ পুষ্টিকর খাবার। আর প্রতিদিন গোসল করাতে হয় ৩-৪ বার। গরুর মালিক শফিকুল ইসলাম দাম হাঁকিয়েছেন ১৪ লাখ টাকা।

জানা যায়, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাগেরভিটা বেপারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হলেও তার শখ ছিল বড় গরু পালনের। এজন্য তার বড় ভাই শামসুল হকের খামার থেকে তিন বছর আগে একটি আমেরিকান ডেইরির হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুর নেন তিনি। এরপর পরম মমতায় বেড়ে উঠা বিশালদেহের গরুটির চলন-বলন ও আয়েশি খাবারের জন্য আদর করে নাম রাখেন ‘রাজা বাহাদুর’। ১০ ফুট লম্বা ও প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার সাদা-কালো রঙের গরুটির ওজন ১ হাজার ২০০ কেজি। গরু বাজারে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিলেও বাধা তার ওজন। তবে অনেক ক্রেতা ইতোমধ্যে বাড়িতে এসে দরদাম করছেন। তার আশা, বাজারের সেরা এই গরুটি হয়তো বাড়িতেই বিক্রি হয়ে যাবে।

শফিকুল ইসলামের ভাবী মোর্শেদা বেগম গরুটি মূল লালন-পালনের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালন পালন করেছি। আমার আওয়াজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে মাথা নারায়। সবার সঙ্গে রাগের ভাব দেখালেও আমি আসলে শান্ত হয়ে যায়। গরুটি বিক্রি করতে হবে মনে হলেই চোখের পানি চলে আসে আমার। গরুটি বেশি ওজন হওয়ায় বাইরে বের করা অনেক কষ্টের। আমরা গরুটি বাইরে বের করি না। কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ জন মানুষ লাগে গরুটি নিয়ন্ত্রণ করতে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট বড় প্রায় ১৩ হাজার ৭৩১ জন খামারি রয়েছেন। এছাড়াও অনেক পরিবার ব্যক্তিগতভাবে গরু মহিষ ও ছাগল পালনের সঙ্গে জড়িত। এবার কোরবানির জন্য শেরপুর জেলায় ৫১ হাজার ২২৫টি পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত হয়েছে ৮৩ হাজার ৮০২টি পশু। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩২ হাজার বেশি।

পশুগুলো হলো, ৪০ হাজার ২৭০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৮৬৫টি বলদ, ১৩ হাজার ৭৯৪টি গাভী, ১ হাজার ৩৮৬টি মহিষ, ২২ হাজার ৩৯টি ছাগল, ৩ হাজার ৪৪৮টি ভেড়া। প্রস্তুত করা এসব পশু নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে হাটবাজারগুলোতে বিক্রি হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া জানান, কোরবানির পশুকে অসদুপায়ে মোটা তাজা না করার জন্য আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। তবে বড় গরুগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বড় গরু পরিবহনের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম কানুন রয়েছে। তাই যাদের বড় গরু রয়েছে তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জ দেশের মানচিত্রে না থাকাই ভালো : আমির হামজা

মানিকগঞ্জে আষাঢ়েও পানিশূন্য বিল, বিপাকে কৃষক ও জেলেরা

আজ মিলবে বিনামূল্যে ইন্টারনেট, যেভাবে পাবেন

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৬

সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলা থেকে নিজেকে দূরে সরাল যুক্তরাষ্ট্র

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আজ

অর্থাভাবে সংকটের মুখে চট্টগ্রামের স্মার্ট স্কুল বাস

১৮ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১০

১৮ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

ফ্ল্যাট বাসা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১২

শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা, স্বপ্নে সবুজ বাংলাদেশ

১৩

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

১৪

তারেক রহমানের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ : ড. জালাল উদ্দিন

১৫

চলনবিল রক্ষায় কঠোর প্রশাসন

১৬

‘নির্বাচন বানচালের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে যুবদল প্রস্তুত’

১৭

বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১

১৮

জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ / চ্যাম্পিয়নকে বিদায় করলেন সিবগাত উল্লাহ

১৯

আবাহনীতে মোরসালিন-আল আমিন অধ্যায় শুরু

২০
X