পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিফ/২০২৫-২৬ মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চারা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর হক, বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায়, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা, স্বপ্নে সবুজ বাংলাদেশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে চার ধরনের গাছের চারা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধি গাছ নিম এবং ফলদ গাছ বেল, জাম ও কাঁঠাল। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানোর অভ্যাস তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে একটি পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, চারা বিতরণ শেষে শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে চারা গ্রহণ করে এবং প্রতিজ্ঞা করে যে তারা নিজ নিজ বাড়িতে তা রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, আমাদের শিশুরা হলো দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ না রেখে সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
একই অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের প্রান্তিক ও দরিদ্র পরিবারের চার শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে মানসম্পন্ন স্কুলব্যাগ, টিফিন বক্স ও পানির বোতল বিতরণ করা হয়।
পরিবেশ সচেতনতা এবং শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে আগ্রহী করে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগকে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ কর্মকর্তারা সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন