বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পরকীয়ার জেরে এক প্রেমিকের হাতে আরেক প্রেমিক খুন

গ্রেপ্তারকৃত শাহের বানু ওরফে শাহনাজ ও মঞ্জুরুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
গ্রেপ্তারকৃত শাহের বানু ওরফে শাহনাজ ও মঞ্জুরুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

এক প্রেমিককে দিয়ে আরেক প্রেমিককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শাহনাজ নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারী এবং তার বর্তমান প্রেমিক মঞ্জুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রংপুর নগরীর হাজিরহাট রনচণ্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে নগর ডিবি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এর আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)।

আবু মারুফ হোসেন জানান, ২০০৮ সালে শাহনাজের সঙ্গে রনচন্ডি এলাকার তমিজ উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে মঞ্জুরুলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, শাহনাজ একই সময়ে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে একই সম্পর্কে জড়ান। কিছুদিন পর সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি শাহনাজ মঞ্জুরুলকে জানান এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

উপকমিশনার বলেন, শাহনাজের পরিকল্পনায় গত ২৬ জুন রাত ২টার দিকে শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দুজন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাঁসুয়া নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সঙ্গে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে।

আবু মারুফ বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকত। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

হাজিরহাট থানার ওসি রজব আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে অটোচালক সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি রণচন্ডি এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি তখন ক্লুলুলেস ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সাদ্দামের মা ইসমত আরা বেগম বাদী একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার পরশুরাম জোন মো. আল ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

উল্লেখ্য সহকারী পুলিশ কমিশনার পরশুরাম জোন মো. আল ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিনা করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে আসামি গ্রেপ্তার হয়। আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১০

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১১

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১২

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

১৩

এবার জুবিনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বিধানসভা

১৪

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেত্রী

১৫

বাজার থেকে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

১৬

দারিদ্র্যসীমা নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল বিশ্বব্যাংক

১৭

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, পুড়ল শতাধিক ঘর

১৮

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে এই ১০ তথ্য দেবেন না

১৯

হাসপাতালে ঢুকে পড়ল সাপ, অতঃপর...

২০
X