রাজধানীর ডেমরায় রানা নামে এক যুবক হত্যা মামলায় পুনঃবিচারে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২১ মে) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় দেন।
এরআগে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর একই আদালতের তৎকালীর বিচারক আবদুর রহমান সরদার চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মাসুদ, আল আমিন ওরফে আলম, শফিকুল ইসলাম ওরফে রবিন ও জাহাংগীর হোসেন। বাবলা ও মনির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন বলেন, রায়ের পর মামলার মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো যাই। ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে হাইকোর্ট দেখেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। পরে উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় বিচারে পাঠায়। ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে নথি বিচারিক আদালতে আসে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় দিলেন। চার জনের মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে আল আমিন, শফিকুল ইসলাম, মাসুদ এবং বাবলাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। মনির এবং জাহাংগীর পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ডেমরা থানার শূন্যচেংড়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ফাঁকা জমিতে রানার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর মাসুদ ও আল আমিন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
মন্তব্য করুন