সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৬ এএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে মশাল মিছিল

বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ছবি : কালবেলা
বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ছবি : কালবেলা

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কোটা আন্দোলনকারীরা মশাল মিছিল করেছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থী মরলো কেন, তার জবাব চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ‘রাষ্ট্র তখন কী করে, আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরে’ প্রশ্ন করেও স্লোগান দিতে থাকেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৯টার দিকে আব্দুল জব্বার মোড় থেকে তারা মশাল মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেআর মার্কেটের দিকে যায় এবং স্লোগানে মুখরিত করে। শেষে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে ৯টা ১০ মিনিটে তারা জামালপুর কমিউটার ট্রেন ছেড়ে দেন, যা অবরোধ করা হয় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে।

এর আগে বিকাল ৩টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেআর মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেললাইনে আগেই অবস্থান করেছিল বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। আন্দোলনকারীরা রেললাইন অবরোধ করতে চাইলে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ছাড়াই রেললাইন থেকে চলে যায়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে দেন। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা মাশরাত বলেন, আজকে যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরছে, আমার বোনের রক্ত ঝরছে। এ কেমন স্বাধীনতা, এ কেমন বাংলাদেশ। আন্দোলনে রক্ত ঝরায় দেশের পতাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যে ভাই আজকে মাথায় পতাকা বেঁধে আন্দোলন করছে তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, পিটুনি দেওয়া হচ্ছে। আজকে একদম স্পষ্ট করে বলতে চাই, আর একজনের দেহের রক্ত যদি ঝরে এই বাকৃবি ছাত্র সমাজ, সারা বাংলার ছাত্র সমাজ জিরো টলারেন্স নীতিতে দাঁড়াবে।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ওয়াহিদা আঞ্জুম রিস্তা বলেন, আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু আমার এখন লজ্জা লাগতেছে যে আমার জন্য আমার ভাইদের রক্ত ঝরছে। আমি আমার ভাইদের অধিকার, বোনদের অধিকার হরণ করে এই কোটা চাই না। আমি চাই এর একটা বিহিত হোক, কোটা সংস্কার হোক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটাবিরোধী আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১০

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১১

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১২

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৩

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

১৪

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৫

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

১৬

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

১৭

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

১৮

ধানের শীষের বিজয় মানেই জনগণের মুক্তি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

১৯

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

২০
X