চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০ বছর পর প্রকাশ্যে চবি ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ-সমাবেশ

চবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ-সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
চবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ-সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

দীর্ঘ এক দশক এবার নিজস্ব ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। এতে প্রায় সহশ্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।

চাকসু নির্বাচন, শতভাগ আবাসন নিশ্চিত, অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতসহ সাত দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবন থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, শহিদ মিনার ও কাটা পাহাড় হয়ে জিরো পয়েন্টে মূল ফটকের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক হাবিবউল্লাহ খালেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতারা।

এ সময় নেতাকর্মীদের ‘আমার তোমার অধিকার, চাকসু চাকসু’, ‘জুলাইয়ের প্রশাসন, দাও শতভাগ আবাসন’, ‘মাথার উপর ছাতা দে, নয় আবাসন ভাতা দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের চাকরিচ্যুত করা তো দূরের কথা প্রশাসন দোসরদের নানা জায়গায় পদায়ন করছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের কোনো বিচার হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবির কখনোই কারও লাঠিয়াল হয়ে কাজ করেনি, করবেও না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির কেবলই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করতে চায়।

এ সময় তিনি সাত দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে। সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিগগিরই সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন এবং পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচনসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনঃনির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।

এছাড়াও জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ইব্রাহিম রনি এবং শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক খলীল আনোয়ার।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ব্যানারে প্রকাশ্যে কোনো সমাবেশ ও মিছিল করতে দেখা যায়নি শাখা ছাত্রশিবিরকে। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরে ক্যাম্পাসে শিবিরের শীর্ষ নেতাদের আত্মপ্রকাশের পর থেকে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে সভা, সেমিনার ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চবি ছাত্রশিবির।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবু সাঈদের বাবা

ভারতে গেল প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম

এবার আমাদের লক্ষ্য সংসদ ভবন : নাহিদ

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘সংস্কার কমিশনকে বলেছি, ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ করতে হবে’

কোনো দলের সম্পদ নয়, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের : সারজিস

ফিফার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও এক ক্লাব

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা

১০

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামতে সহযোগিতা দেবে ভার‍ত

১১

যশোরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১২

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর

১৩

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উত্তরায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল 

১৪

কিছু ষড়যন্ত্রকারী দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করতে চায় : এনডিপি

১৫

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জামায়াতের আমির

১৬

বাঙলা কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবির ও সেক্রেটারি সাকিব

১৭

উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস, ডেকে আনছেন যেসব ক্ষতি

১৮

পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

১৯

পুলিশ সদর দপ্তরের পর্যালোচনা / ছয় মাসে ২৭ হত্যার কোনোটিই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নয়

২০
X