কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেছেন, ৫ আগস্ট একটা স্মরণীয় দিন। এমন একটি দিন আসতে শত বছর অপেক্ষা করতে হয়। সেই শক্তিই চরম এক স্বৈরশাসককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। তবে দুঃখজনকভাবে বলতেই হচ্ছে— স্বৈরাচার গেছে কিন্তু তার ছায়া এখনো আমাদের ঘিরে রেখেছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ আয়োজনের মধ্যে ছিল সেমিনার, মিলাদ, র্যালি, চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান দুর্নীতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে গোপনে দুর্নীতি চলছে। আমরা তা বুঝতে পারছি কিন্তু ধরতে পারছি না। আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে চেষ্টা করব— সারাদেশে না পারলেও, যতদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, ততদিন এখান থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় গ্রেডে রয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা প্রথম গ্রেডে উন্নীত হবো ইনশাআল্লাহ। এই লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
আলোচনায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, জুলাই আন্দোলন শুধু একটি তারিখ নয়, এটি সাম্য, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের প্রতীক। আমরা একজন স্বৈরশাসককে বিদায় করতে পেরেছি কিন্তু স্বৈরাচারী আচরণ কি দূর করতে পেরেছি? তারুণ্যই ছিল অভ্যুত্থানের মূল শক্তি। সেই তারুণ্যকে ধারণ না করলে আন্দোলনের প্রকৃত চেতনা ধরে রাখা সম্ভব নয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ৫ আগস্টের পর মানুষ সাহসের সঙ্গে নিজের মতপ্রকাশ করতে পারছে। আগে মানুষ একশবার লিখে আবার ডিলিট করত, এখন মুখ খুলতে পারছে। এটি নতুন স্বপ্ন ও স্বচ্ছতার এক যুগের সূচনা করেছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।
আলোচনা শেষে জুলাইয়ে আহত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
মন্তব্য করুন