

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০ পেরিয়ে একুশে পদার্পণ করেছে। এ বছর সাদামাটা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকতা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ প্রতিপাদ্যে জবি দিবস পালন করা হয়।
জানা যায়, ২০০৫ সালে ২০ অক্টোবর জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। এ বছর শ্যামাপূজার কারণে ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়েদ টিউশন বাসায় হত্যার শিকার হন। জুবায়েদের স্মরণে সাদামাটা আয়োজন করে প্রশাসন।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এরপর সকাল পৌনে ১০টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিয়ে র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মোড় ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজীম বলেন, ‘প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়। তবে এ বছর সবাই শোকে নিমজ্জিত। তাই সাদামাটাভাবে হলেও আমরা সন্তুষ্ট। সর্বোপরি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ কামনা করি।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের ঐক্যের প্রতীক। তবে জুবায়েদ ভাইয়ের মৃত্যুতে সবাই ভীষণ মর্মাহত। তাই আনন্দের চেয়ে শোকই আজ বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই শোকই আমাদের আরও সচেতন ও দায়িত্ববান জবিয়ান হিসেবে গড়ে তুলবে বলে বিশ্বাস করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়। তবে এ বছর দুয়েকটি ঘটনার কারণে পুরো পরিবেশটি শোকাবহ হয়ে উঠেছে। সেই কারণেই আমরা এবার সাদামাটা আয়োজন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
মন্তব্য করুন