হেলথ কেয়ার সেন্টার (নতুন ছাত্রী হল) থেকে স্থায়ী হলে ওঠার দাবিতে আন্দোলন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রীরা।
এসময় আমাদের স্থায়ী হল না দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু না করা, অবিলম্বে আমাদের স্থায়ী হলে স্থানান্তর করা, স্থায়ী আবাসন নিশ্চিত করা এবং আমাদের হলের স্থায়ী ছাত্রী হিসেবে নথিবদ্ধ করতে হবে দাবি জানান আন্দোলনরত ছাত্রীরা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে পোস্টার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা।
এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগানও দিতে থাকে। এতে সুতিয়াখালি থেকে ময়মনসিংহ শহর অভিমুখী যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদের আশ্বাসে ছাত্রীরা প্রোভোস্টের সাথে হলে ফিরে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হেলথ কেয়ার সেন্টারে বর্তমানে ১৬০ জন আবাসিক ছাত্রী রয়েছে। এসব ছাত্রীর বেশিরভাগ প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ৩টি ছাত্রী হলের কাজ চলমান। কাজ শেষ না হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে রাখা হয়েছে। ছাত্রীদের সিট সংকটের কারণে প্রতি বছর কিছু সংখ্যক ছাত্রীদের হেলথ কেয়ার সেন্টারে রাখা হয়। তবে সেখানে নেই হলের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের প্রথমে স্থায়ী হলে তোলার কথা থাকলেও হেলথ কেয়ারে ওঠানো হয়েছে। এখন আমাদের এক বেডে দুজন করে থাকতে হয়, কোনো ডাইনিং ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়, নিরাপত্তা সংকট, অপর্যাপ্ত ওয়াশরুম থাকায় চরম ভোগান্তিতে থাকতে হচ্ছে। হল না হওয়ায় হলের সকল সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের রুমে জিনিসপত্র রাখার পর চলাচলের আর জায়গা থাকে না। এতে পড়াশোনার পরিবেশ না পাওয়ায় আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে সিনিয়র ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী হলে ওঠাতে চাই। এরপর সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে নতুন ছাত্রীদের হলে তুলব। আজ রাতে ছাত্রীদের পাঁচ হলের প্রোভোস্টদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন