চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংহতি সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় চবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসেনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন’সহ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ফেস্টুন হাতে আন্দোলন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ইসরায়েলিদের ১৯৪৮ সালের আগে কোনো দেশ ছিল না, ছিল না কোনো নির্ধারিত থাকার জায়গা। ফিলিস্তিনিবাসী ইসরায়েলিদের অসহায়ত্ব দেখে ফিলিস্তিনে থাকার জায়গা দিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল তাদের আশ্রয়দানকারীদের আজ নির্মমভাবে হত্যা করছে। ফিলিস্তিনিদের সম্পদ লুট করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। মানবতার ইতিহাসে এত জঘন্যতম গণহত্যা ও অপরাধের নজির খুব কমই আছে। আমরা এ নৃশংসতার প্রতিবাদ জানাই।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ আহমেদ সিয়াম বলেন, আমরা জাতিগতভাবে পৃথিবীর নিপীড়িত মজলুম মানুষের পক্ষে। কোনো দখলদার বাহিনীকে আমরা সমর্থন করি না। ফিলিস্তিনের ভূমিতে আশ্রয় নিয়ে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের ঠিকাদারি নিয়ে নিজেদের সুপার পাওয়ার দাবি করা গোষ্ঠী আজ ইসরায়েলের বর্বরতা ও দখলদারিত্বের বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে না। মূলত তারা সন্ত্রাস দমন নয়, নিজেদের স্বার্থে পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে চায়। আমরা তাদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দাবি জানাচ্ছি, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বহাল রাখা হোক।

আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যখন উমর (র.)-এর নেতৃত্বে মুসলিমরা ফিলিস্তিন বিজয় করেন, তখন এক ফোঁটা রক্তও ঝরেনি। ফিলিস্তিনের ইতিহাসে মুসলমানদের শাসন আমল ছিল উজ্জ্বল ও নিরাপত্তায় পরিপূর্ণ। সেখানে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের আজকের বর্বরতা সত্যিই বিস্ময় জাগায়। আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ন্যায় সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।

এসময় শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণের সমবেদনা জ্ঞাপন ও দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জনসমুদ্রে পরিণত ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকা

অপেক্ষার প্রহর শেষ, ঢাকায় তারেক রহমান

আমি সবকিছু স্তব্ধ হয়ে দেখেছি: শুভশ্রী

মারা গেলেন সেই বিএনপি নেতার আরেক মেয়ে

সিলেট থেকে ঢাকার পথে তারেক রহমান

বিমানবন্দরে লাল-সবুজের বুলেটপ্রুফ বাস 

কেটি পেরির প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে আরও ২ ধর্ষণের অভিযোগ

দেশে ফিরে ইতিহাস গড়া চার বিশ্বনেতা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আসার পথে দুর্ঘটনায় আহত ৩২

১০

তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত ৩০০ ফিট এলাকা

১১

দেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন

১২

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও আলেপ্পোতে টানটান পরিস্থিতি

১৩

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে তারেক রহমান

১৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন

১৫

সিলেট পৌঁছালেন তারেক রহমান

১৬

ন্যান্সির কণ্ঠে গান ‘নেতা আসছে’

১৭

বাংলাদেশের আকাশসীমায় ঢুকে তারেক রহমানের স্ট্যাটাস 

১৮

দেশের আকাশ সীমানায় ঢুকল তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান

১৯

বিমানবন্দরে পৌঁছেছে তারেক রহমানের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি

২০
X