কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২৮৫ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানের দাবি

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন নিয়োগ বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। ছবি : কালবেলা
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন নিয়োগ বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। ছবি : কালবেলা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বঞ্চিত ২৮৫ শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অবিলম্বে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে নিয়োগ বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সহকারী শিক্ষক পদে অবিলম্বে তাদের নিয়োগের দাবি জানান।

তারা জানান, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও কোটা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আড়াই বছরেও নিয়োগ পাননি। ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিলেও এতিম/প্রতিবন্ধী কোটা বিভাজনে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভুলের কারণে এই নিয়োগটি কাযকরী হয়নি। কারণ তারা ভেবেছিল এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর।

তারা আরও জানান , জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা এ ব্যাপারে পত্র মারফত জানতে চাইলে তারা আমাদের জানায় এটা তৃতীয় শ্রেণী। এই জটিলতার কারণে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের নিয়োগ দেয়নি। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হই আমরা। ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলার রায়েও ২৮৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী চাকরি প্রত্যাশী সাজ্জাদ হোসেন সাজু বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ৩৫ (১) এ বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী, উপযোগী কোনে কাজে নিযুক্ত হতে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তার প্রতি বৈষম্য করা বা তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ইউএনসিআরপিডিতে বলা হয়েছে প্রতিবন্ধিতার কারণে কেউ কোনো বৈষ্যমের শিকার হবে না। তাহলে আমরা কেনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার কাছে আমাদের একটাই দাবি আদালতের রায়ের ভিত্তিতে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক।

শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আজিজুল হাকিম বলেন, আমার জেলা পাবনার বেড়া উপজেলায় সহকারী শিক্ষক পদে ৭৮ জনের নিয়োগ হলেও কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিয়োগ হয়নি।

তারা জানান, আমাদের জীবন থেকে আড়াই বছর হারিয়ে গেছে। এদিকে চাকরির বয়সসীমা ৩২ করা হয়েছে। আমাদের নিয়োগ না দিলে আমাদের ভবিষ্যত হারিয়ে যাবে।

আমাদের দাবি না মানলে, আমরা ২৮৫ নিয়োগ প্রাথী আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিবো।

এসময় আরও বক্তব্য দেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কামাল হোসেন, কৌশিক আহমেদ সজীব প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেনাবাহিনীর হাতে ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক 

ইবি ছাত্রের রহস্যজন্যক মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে ছাত্রশিবিরের টর্চ মিছিল

বাঙলা কলেজ শিক্ষার্থী শহীদ সাগরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কেশবপুরে ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু

মাদ্রাসা টিকে আছে বলেই আমাদের ওপর বিভিন্ন ঝড় ঝাপটা আসে : ধর্ম উপদেষ্টা 

ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব স্বপ্ন গড়ার সূতিকাগার

রাজবাড়ী জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ বাঙলা কলেজ শাখার কমিটি গঠন

গণঅভ্যুত্থান মেহনতি মানুষের কষ্ট লাঘব করেনি : সাইফুল হক 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ফেসবুক পোস্ট

মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল মা ও ভাই

১০

এবার পুলিশের সামনেই চাপাতি দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল 

১১

বৃষ্টির দেখা নেই, আমন চাষে বিপাকে কৃষক

১২

প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষায় কারা সুযোগ পাবে, বাছাই হবে যেভাবে

১৩

হাসপাতালের লিফটের নিচে পড়ে ছিল রোগীর অর্ধগলিত লাশ

১৪

পরিবারের সবাই ইয়াবা বিক্রেতা, অতঃপর…

১৫

নির্বাচন পেছাতে ‘সংস্কার-বিচারের’ নামে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে : আমিনুল হক

১৬

ডাকাতের রশির ফাঁদে যুবকের মৃত্যু, আহত ২

১৭

সরকার উসকানি দিয়ে এনসিপিকে গোপালগঞ্জ পাঠিয়েছে : ড. রেদোয়ান

১৮

জুলাই আন্দোলনে শহীদ তিন পরিবারে কান্না থামেনি আজও

১৯

মুজিববাদের কবর দিতে গোপালগঞ্জ যাওয়ার দরকার নেই : এ্যানি

২০
X