আলোকিত সমাজ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে যুবসমাজের সৃজনশীলতা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে আলোকিত মানুষ তৈরি করছে পাহাড়গাঁও সমাজকল্যাণ পাঠাগার। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে চৌরঙ্গী বাজারে এরকম এক ব্যতিক্রমী পাঠাগার আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। যার সুফল পাচ্ছে এলাকাবাসী।
তরুণ যুবকরা যখন বিভিন্ন মোবাইল গেম ও মাদকাসক্তিতে আসক্ত হচ্ছে—ঠিক তখন সেসব তরুণকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে ও খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করে তাদের মানবিক কাজ করার উৎসাহ জোগাচ্ছে পাহাড়গাঁও সমাজকল্যাণ পাঠাগার।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত পাহাড়গাঁও সমাজকল্যাণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠার ৬ বছরের মাথায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে মানুষকে একটি ইতিবাচক ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্লাড গ্রুপিং, অসহায় দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ, গরিব অদম্য মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ছাড়াও সবার জন্য ফ্রি কোরআন শিক্ষা ক্লাসের আয়োজন করে অত্র এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বীড়গড় দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোকাম্মাল হোসেন জানান, এই পাঠাগারে আমাদের এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন কার্যক্রম অত্র এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পাঠাগারের কার্যক্রমগুলো যেন নিয়মিত পরিচালনা করা হয়, সে ব্যাপারে সবার দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
চৌরঙ্গী পাঠশালা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, দেশের অন্যতম মডেল পাঠাগার হলো পাহাড়গাঁও সমাজকল্যাণ পাঠাগার। এ পাঠাগারটি হতে পারে সবার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
পাঠাগারটির সভাপতি খুবাইব জানান, পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা নানারকম বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হন। সামনে আরও বহু পথ পাড়ি দিতে চান। পাঠাগারটি এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
৪ নম্বর ডাংগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবিব চৌধুরী বলেন, এই পাঠারগারটি আমাদের এলাকায় ব্যাপক মানবিক কাজ করছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি তাদের কার্যক্রমগুলো এগিয়ে নিতে। এই পাঠাগারটি একটি আদর্শ পাঠাগার হিসেবে সবার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
মন্তব্য করুন