জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘কালচারাল কাউন্সিল’ গঠনসহ ৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিয়া রহমান মোহনা।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবনের সামনে সংবাদ সম্মলনে নিজের নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ইশতেহার তুলে ধরেন তিনি। এ সময় জাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সমর্থিত প্যানেল ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন এ প্রার্থী।
মোহনার ৭ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য স্থায়ী স্থান ও বাজেট নিশ্চিতকরণ, আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ফ্রেশারসকালচারাল শো চালু, লোকসংস্কৃতি, সাহিত্য ও আধুনিক শিল্পচর্চার সমন্বয়, দেয়ালিকা ও সাংস্কৃতিক পত্রিকা প্রকাশ, মাদকমুক্ত ও সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য টিএসসি প্যাড কার্ট চালু করা।
এছাড়াও টিএসসিতে বিদ্যমান কক্ষ সংকট নিরসন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারবিষয়ক সাংস্কৃতিক কর্মশালা আয়োজন, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ ও জহির রায়হান মিলনায়তন সংস্কার ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরি, যৌথ আয়োজন বাড়িয়ে বিভাজন কমানো, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ত্রৈমাসিক সাংস্কৃতিক পত্রিকা ও দেয়ালিকা প্রকাশ, গবেষণাভিত্তিক সাংস্কৃতিক উদ্যোগকে প্রণোদনা প্রদান, হলভিত্তিক সাংস্কৃতিক পাঠাগার গঠন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্যাড কার্ট চালু, প্রক্ষালন কক্ষের সংস্কার ইত্যাদি সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্যানেল থেকে সরে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিল্পী এবং সংগঠক হিসেবে আমার শিল্পের প্রতি দায়িত্বের স্থান থেকে আমি সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাকসু নির্বাচনে লড়ছি। আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য যে কোনো শিক্ষার্থী লড়াই করতে পারে। তার কোনো প্যানেল থাকা জরুরি নয়। আমরা যেহেতু মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নই, শিল্পের সাথে বসবাস, তাই ন্যায় এবং অন্যায় এই দুইয়ের তফাৎ খুঁজি আর ন্যায়ের জন্য লড়াই করি।
মোহনা ছোটবেলা থেকেই নাচ, গান এবং অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে নাটকের পাশাপাশি গার্মেন্টস কর্মীদের সন্তানদের জন্য ‘ওশেন কালচারাল সেন্টার’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন