ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে রেজাউল করিম (২৮) নামের এক যুবক। পেশায় তিনি একজন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মুকুন্দপুর কামারপাড়া রেললাইনের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ।
নিহত রেজাউল করিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. জুরুল মিয়ার ছেলে। তিনি কুমিল্লার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এ ওয়ার্কশপ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সিলেটের শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে যাচ্ছিলেন।
সহযাত্রী আহত ইমাম হোসেন, রিফাত মিয়া ও আব্দুল মান্নান জানান, কুমিল্লা স্টেশন থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে বসে তারা যাত্রা শুরু করেন। আখাউড়া রেলস্টেশন অতিক্রম করার পর ৮-১০ জন ছিনতাইকারী তাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা রেজাউল করিমকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও কাপড়-চোপড় ছিনিয়ে নেয়।
নিহতের চাচাতো ভাই এম. মামুন অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার অনেক পরে রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তার দাবি, দ্রুত চিকিৎসা পেলে হয়তো রেজাউলের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব ছিল।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠা আইনত নিষিদ্ধ। ছিনতাইকারীরা ফেলে দিয়েছে নাকি অসাবধানতাবশত পড়ে গেছে তা তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন